বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে এখন তারকা সন্তানদের রাজত্ব। এক সময়কার নামজাদা অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছেলেমেয়েরা এখন কাঁপাচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রি। অনেকে ইতিমধ্যেই ডেবিউ করে বেশ জাঁকিয়ে বসেছেন বলিউডে। অনেকে আবার তোড়জোড় করছেন অভিষেক করার। এমন স্টারকিডদের কথা উঠলে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) ছোট্ট মেয়ে দিশানী চক্রবর্তীর (Dishani Chakraborty) নাম না করলেই নয়।
বলিউড এবং টলিউড সুপারস্টার মিঠুনের তিন ছেলে মহাক্ষয়, নমশি এবং উশ্মে চক্রবর্তী আর এক মেয়ে দিশানী। তিন দাদার ছোট বোন তিনি এবং মিঠুনের আদরের মেয়ে। দিশানীকে কার্যত চোখে হারান অভিনেতা। দাদাদেরও খুব আদরের বোন তিনি।
একথা সকলেই জানেন, দিশানী মিঠুনের নিজের মেয়ে নন। তাঁকে দত্তক নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে দিশানীকে দত্তক নিয়েছিলেন মিঠুন। শোনা যায়, শুটিং থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে হঠাৎ এক শিশুর কান্নার শব্দ পান তিনি। রাস্তার ধারে এক আস্তাকুঁড় থেকে ভেসে আসছিল কান্নার শব্দ।
শিশুকন্যাটিকে দেখতে পেয়েই তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন মিঠুন। সমস্ত আইন মেনে স্ত্রী যোগিতার সঙ্গে শিশুটিকে দত্তক নেন। সেই থেকে মিঠুনের আপন কন্যা হিসাবেই বড় হয়ে উঠেছেন দিশানী। একবার এক শোতে মিঠুন বলেছিলেন, মেয়ে যদি একদিন কথা না বলে তাঁর সঙ্গে তাহলে তাঁর মনে হয় যেন দম আটকে আসছে।
এই মুহূর্তে নিউ ইয়র্ক ফিল্ম অ্যাকাডেমিতে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন দিশানী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয় থাকেন তিনি। ৯২ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রামে। বড় হয়ে এতই সুন্দরী হয়ে উঠেছেন মিঠুন কন্যা যে তাঁর দিক থেকে চোখ ফেরানো দায়। অতি যত্নে, ভালবাসায় দিশানীকে বড় করেছেন মিঠুন। নতুন জীবন দিয়েছেন তাঁকে।
দিশানীর ছবিগুলি দেখে অনেকেই মন্তব্য করেন, বর্তমানের অনেক স্টারকিডকেই রূপে টেক্কা দিতে পারেন মিঠুন কন্যা। একজন রাজকন্যার মতোই জীবন কাটান তিনি। আর এর জন্য মিঠুনকেও প্রাণ উজাড় করে ভালবাসেন দিশানী। বাবা মায়ের সঙ্গে একাধিক ছবি রয়েছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে টুকটাক অভিনয় করলেও এখনো সেভাবে বলিউডে ডেবিউ করেননি দিশানী। এর আগে লি স্ট্র্যার্সবার্গ ইনস্টিটিউটে কেমবারলি হ্যারিস পরিচালিত সেমিনারে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরিচালক আল পাচিনোর সামনে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন দিশানী। পেয়েছিলেন প্রভূত প্রশংসাও। অর্থাৎ শুধু রূপে লক্ষ্মী নন, গুণেও সরস্বতী তিনি।