বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে ভারতের চাকরির বাজারে অন্যতম লোভনীয় হলো UPSC (Union Public Service Commission) পরীক্ষা। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী UPSC পরীক্ষায় বসেন আইএএস হওয়ার জন্য। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এই UPSC পরীক্ষার চল শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। প্রথমদিকে শুধুমাত্র ব্রিটিশরা এই পরীক্ষায় বসার জন্য নির্বাচিত হলেও পরবর্তীকালে ভারতীয়দের জন্য এর দরজা খুলে দেওয়া হয়। ১৮৫৪ সালে পার্লামেন্টের সিলেক্ট কমিটির ম্যাকলের রিপোর্টের পরই চালু হয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। সেই সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিভিন্ন বেসামরিক পদের কর্মী নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হতো।
UPSC পরীক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য যেতে হত লন্ডন । প্রশিক্ষণের শেষে অবশ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের কাজে যোগ দিতে হত। প্রথমদিকে শুধুমাত্র ব্রিটিশরা এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলেও পরবর্তীকালে এই পরীক্ষার দরজা খুলে দেওয়া হয় ভারতীয়দের জন্য।
১৮৫৪ সালে সিভিল সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৮৫৫ সালে প্রথম লন্ডনে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যোগ্যতার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষায় বসার জন্য সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয় ১৮ বছর। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ২৩। ব্রিটিশ আমলে সম্পূর্ণ ব্রিটিশ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই পরীক্ষা তৎকালীন ভারতীয়দের জন্য খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও এক ভারতীয় বাঙালি পরীক্ষার্থী নিজের যোগ্যতায় ব্রিটিশদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন এই চাকরি। জানেন তিনি কে?
দেশের প্রথম ভারতীয় আইএএস অফিসার ছিলেন ঠাকুর পরিবারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সম্পর্কে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরই ছিলেন দেশের প্রথম ভারতীয় আইএএস। তিনি ১৮৬২ সালে লন্ডনে গিয়ে মাত্র এক বছরের অধ্যাবসায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হন এই কঠিন পরীক্ষা।
মাত্র ২১ বছর বয়সে বোম্বে প্রেসিডেন্সিতে তিনি কাজ শুরু করেন। সেই সময় তার এই জয়লাভ ও চাকরি গ্রহণ দেশে তো বটেই ,সারা পৃথিবীতে এক আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত ঠাকুর পরিবারের এই কৃতি সন্তান পড়াশোনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।