বাংলাহান্ট ডেস্ক: টিকটক (TikTok) ভারত থেকে বিদায় নিয়েছে তিন বছর আগেই। কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয় এই অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ায় কার্যত মাথায় হাত পড়েছিল বহু মানুষের। অনেকেরই লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার ছিল টিকটকে। চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ায় রাতারাতি জনপ্রিয়তা হারানোর উপক্রম হয় অনেকের। তাদের জন্য দেবদূত হিসেবে হাজির হয়েছিল ইনস্টাগ্রামের রিল ভিডিও। এইসব সোশ্যাল মিডিয়া তারকাদের মধ্যেই একজন সোফিয়া আনসারি (Sofia Ansari)।
মূলত টিকটক তারকা হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছিলেন সোফিয়া। গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীকালে মুম্বই চলে আসে তাঁর পরিবার। ২০১৮ সালে টিকটকের দৌলতে প্রথম লাইমলাইটে উঠে আসেন সোফিয়া। তাঁর লাস্যময়ী নাচের ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে ঝড়ের গতিতে। আর তেমনি দ্রুত হারে ফলোয়ার বাড়তে থাকে সোফিয়ার।
২০২০ সালে টিকটক ব্যান হয়ে যাওয়ায় তাঁরও অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। তখনই ইনস্টাগ্রাম নিয়ে আসে নতুন ফিচার রিল ভিডিও। আরো অনেক প্রাক্তন টিকটক তারকার মতো সোফিয়াও ঝোঁকেন এই দিকে। আর তাঁর টানে এসে পৌঁছান অগুনতি ভক্তও। এখানে কার্যত আরো বোল্ড হয়ে ওঠেন সোফিয়া। শরীরে পোশাকের পরিমাণ কমার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে ফলোয়ার সংখ্যা।
ইনস্টাগ্রামে নিয়মিত হট ভিডিও, নাচ, অর্ধনগ্ন ছবি শেয়ার করতে শুরু করেন সোফিয়া। এদিকে ইউটিউবারদের নজরে তিনি পড়তেই শুরু হয়ে যায় ট্রোল। ইউটিউব কমিউনিটির রাঘব বোয়ালরাও রোস্ট ভিডিও বানাতে ছাড়েননি সোফিয়াকে নিয়ে। পালটা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
কিন্তু বিপদটা সোফিয়ার কপালেই নাচছিল। ২০২২ এ অর্ধনগ্ন ছবি, ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয় সোফিয়ার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি। আবারো ট্রোলের মুখে পড়েন তিনি। এখন অবশ্য নিজের অ্যাকাউন্ট ফেরত পেয়ে গিয়েছেন সোফিয়া। আর তাঁর বোল্ড কনটেন্টও চলছে একই দমে।
বর্তমানে সোফিয়ার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা মোট ৯.৩ মিলিয়ন যা বেশ কয়েকজন বলিউড ব্যক্তিত্বের চেয়েও বেশি। নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বলে দাবি করা সোফিয়া কয়েকটি মিউজিক ভিডিও এবং একটি ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। তবে অবাক করে দেয় তাঁর রোজগারের অঙ্কটা। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বছরে প্রায় ৯০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন সোফিয়া আনসারি।