বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতি অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সরকারও গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি, দেশটি এখন রীতিমতো ঋণের ওপর ভর করে কোনোমতে নিজেকে সামলাচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এমনকি, এই অবস্থাতেও তাঁরা তাঁদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন এবং বড় অঙ্কের করও দিচ্ছেন।
এমনিতেই আমরা প্রায়শই ভারত, এশিয়া কিংবা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরদের প্রসঙ্গে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারি। পাশাপাশি, তাঁদের সম্পর্কেও আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যাঁর সম্পর্কে অনেকেই না জানলেও তিনি কিন্তু বিরল নজির স্থাপন করেছেন। মূলত, আজ আমরা পাকিস্তানের সবথেকে ধনী মহিলার বিষয়ে জানাবো। যাঁর সম্পর্কে জানলে অবাক হয়ে যাবেন সকলেই।
ইনি হলেন পাকিস্তানের সবথেকে ধনী মহিলা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তানের সবথেকে ধনী মহিলার সম্পদের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তিনি আর কেউ নন, মিয়া উমর মানশার স্ত্রী ইকরা হাসান মানশা। উল্লেখ্য যে, মিয়ান উমর মানশা একজন প্রোপার্টি টাইকুন এবং তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি মিয়ান মুহাম্মদ মানশার ছেলে। এদিকে, ইকরা মানশা হলেন নিশাত হোটেলস অ্যান্ড প্রোপার্টিজের সিইও। তিনি শুধু পাকিস্তানে নয়, লন্ডনেও ফাইভ-স্টার হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: হিণ্ডেনবার্গের পর আরও একটি ঝড়! বড়সড় ক্ষতি গৌতম আদানির, একদিনেই খোয়ালেন বিপুল অর্থ
জানা গিয়েছে, ইকরা লন্ডন স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে বেশ কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক। কিন্তু তাঁর মোট সম্পদের তথ্য পাবলিক ডোমেইনে না থাকলেও অনুমান অনুযায়ী তাঁর সম্পদের পরিমাণ হল প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমতাবস্থায়, আমরা যদি মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানির মতো ভারতীয় ধনকুবেরদের মোট সম্পদের বিষয়টি দেখি সেক্ষেত্রে আম্বানির মোট সম্পদ হল প্রায় ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে, আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, এই ভারতীয় ধনকুবেরদের থেকে মোট সম্পদের বিচারে অনেকেটাই পিছিয়ে রয়েছেন ইকরা।
আরও পড়ুন: আর নেই উপায়! এবার এই কারণে ৭৬ বছর পরে ভারত নীতি বদলাতে চলেছে পাকিস্তান! সামনে এল বড় তথ্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইকরার শ্বশুরমশাই মিয়া মুহাম্মদ মানশা পাকিস্তানের প্রথম ধনকুবের হিসেবে বিবেচিত হন। এমনকি, তাঁকে পাকিস্তানের “মুকেশ আম্বানি”-ও বলা হয়। ফোর্বসের মতে, নিশাত গ্রুপ পাকিস্তানের সুতির পোশাক রপ্তানিকারকদের মধ্যে বৃহত্তম কোম্পানি। পাশাপাশি, এটি পাকিস্তানের সবথেকে বড় প্রাইভেট এমপ্লয়ারও। মানশার কোম্পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প, সিমেন্ট এবং বীমাতেও বিনিয়োগ করে। জানিয়ে রাখি যে, মিয়ান মানশা ১৯৯১ সালে মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের জন্য বিড জিতেছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালে এমসিবিতে তাঁর অর্ধেকেরও বেশি শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মানশার বর্তমান মোট সম্পদের পরিমাণ হল প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।