বাংলাহান্ট ডেস্ক: নাচের মঞ্চ থেকে অভিনয়ে পা। জি বাংলার নাচের রিয়েলিটি শো থেকেই ‘পিলু’ (Pilu) সিরিয়ালে সুযোগ পেয়ে যান মেঘা দাঁ (Megha Daw)। এই প্রথম ক্যামেরার সামনে অভিনয় করছেন তিনি। মছলন্দপুরের মেয়ে এখন টলিপাড়ার নিয়মিত যাত্রী। জীবন এতটাই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে আগের মতো আর মছলন্দপুরে নাকি যেতেই পারেন না মেঘা।
রিয়েলিটি শোতে ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছিল মেঘার নাচ। বিজয়ী না হলেও ফাইনালে গিয়েছিলেন তিনি। শো শেষ হওয়ার পরেই শুটিং শুরু করেন মেঘা। হঠাৎ অভিনয়ে আসার সিদ্ধান্ত কেন? সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, শোতে অনেকেই তাঁকে বলেছিলেন যে তাঁর মধ্যে একটা অভিনেত্রী সুলভ ব্যাপার আছে। একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
কিন্তু খুব কঠিন বলে পাত্তা দেননি মেঘা। তারপর বাবা মা বোঝানোয় রাজি হন তিনি। অভিনেত্রী খেয়ালি ঘোষ দস্তিদারের কাছে তিনি ওয়ার্কশপও করেছেন বলে জানান মেঘা। তারপরেই ‘পিলু’র সফর শুরু। একদম নতুন পরিবেশে এসে প্রথমটা একটু আড়ষ্ট হয়েই ছিলেন মেঘা।
তবে এখন জড়তাটা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। অনস্ক্রিন এবং অফস্ক্রিনেও। অনেক সমালোচনাও শুনেছেন প্রথম সিরিয়ালেই। অভিযোগ উঠেছে, সিরিয়ালের আরেক চরিত্র রঞ্জাকে নাকি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পিলুর থেকে।
এ প্রসঙ্গে মেঘা বলেন, এমন নেতিবাচকতা কেন ছড়াচ্ছে তিনি জানেন না। তাঁকে যতটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি খুশি। নিজেকে সৌভাগ্যবতী বলে মনে করেন। এমনকি মেট্রো করে যাওয়ার সময়ে শুধু তাঁর চোখ দেখেই চিনে নিচ্ছেন অনেকে।
তবে গ্ল্যামার জগৎ সম্পর্কে অনেক কথা, লেখালেখি হয়। অনেকেই বিশেষ করে নতুনরা দ্রুত সাফল্যের হাতছানিতে পথভুল করেন। কিন্তু মেঘা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, মোহে নিজেকে ভুলতে দেবেন না। নিজের চারিদিকে একটা গণ্ডি তিনি তৈরি করে রেখেছেন, যেটা কোনোদিন যেচে টপকাবেন না। বড় চরিত্র বা বড় পরিচালকের লোভে কোনো রকম আপোসই করবেন না। প্রতি পদে বাবা মায়ের শিক্ষা মনে করে এগোচ্ছেন মেঘা।