কারখানা বন্ধ বাবার, দারিদ্রতাকে জয় করে ISC পরীক্ষায় দেশে তৃতীয় বাংলার মেয়ে মেহেলি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দারিদ্রতা আর লড়াই, শব্দ দুটো যেন তার দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। তবুও নিজের মেধা আর পড়াশোনা করার অদম্য ইচ্ছাকে হাতিয়ার করে সে প্রাণপণে পরিশ্রম করেছে। আর তার হার না মানা লড়াইয়ের কারণেই এসেছে সাফল্য। সে শ্রীরামপুরের হোলি হোম স্কুলের ছাত্রী মেহেলি। আইএসসি-তে দেশে তৃতীয় স্থানাধিকারী। ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে গোটা দেশে তৃতীয় হয়েছেন মেহেলি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই জীবনধর্ম করতে চায় মেহেলি।

জানা গিয়েছে, ডানকুনির ভাদুয়ার বাসিন্দা অজিত ও দীপা ঘোষের একমাত্র মেয়ে মেহেলি। বাবা বন্ধ কারখানার শ্রমিক। মা আর পাঁচজনের মতোই একজন সাধারণ গৃহবধূ। আগুন লেগে দুর্ঘটনার জন্য অজিতের কর্মস্থল অর্থাৎ ডানকুনির ব্যাটারি কারখানাটি গত এক বছর ধরে বন্ধ। বর্তমানে তার রোজগারপাতি নেই বললেও চলে।

অজিতবাবুর কথায়, “অল্প কিছু চাষের জমি আছে, কখনও গুদামে মজুরি করে সংসার চলে। অনটন আছে তবে মেয়ের পড়াশোনার চালানোর জন্য কোনও দিন আপস করিনি।” আজ মেয়ে সাফল্য আসতেই মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে ঘোষ দম্পতির।

জানা গিয়েছে, শুধু পড়াশোনাই নয়, বহু ক্ষেত্রেই পারদর্শী মেহেলি। তার হবির তালিকায় আছে বই পড়া, বাগান পরিচর্যার মতো কাজ। একটা সময় আঁকার মধ্যে দিয়েও বেশ খানিকটা সময় কাটত তার। যদিও পড়ার চাপে আঁকার খাতা আর খোলা হয় না। মেহেলি বলেন, ‘‘মেডিক্যাল পড়তে চাই। কলকাতার কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজে থেকে এমবিবিএস করাই আমার লক্ষ্য।’’ ডাক্তার হয়ে মা বাবার দুঃখ দূর করার পাশাপাশি মেহেলি চান গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর