বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ তৃণমূল (All India Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) যখন একদিকে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) বিরুদ্ধে সুর চরাচ্ছিলেন, তখন আরেকদিকে বিজেপি নিজেদের ঘাঁটি মজবুত করতে ব্যস্ত ছিল। আজকের দিনেই তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে একঝাঁক জ্ঞানীগুণী মানুষ যোগ দিলেন বিজেপিতে। আর তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন, ভারতের ফুটবলের উজ্জ্বল তারকা মেহতাব হোসেন (Mehtab Hossain)। আজ মেহতাব ছাড়াও একাধিক বুদ্ধিজীবী বিজেপিতে যোগ দেন। আজ বিজেপির সদর দফতরে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
Watch my media brief at State HQ.
#MamatarShahidProhoson https://t.co/7kUGL8Ky1P
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) July 21, 2020
আজ মেহতাব ছাড়াও বিজেপিতে যোগ দেন সংগীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ দীপশিখা আদিত্য এছাড়াও দমদম পুরসভার বিরোধী দলনেতা শিশির বল। মেহতাব হোসেন বাঙালির প্রিয় ফুটবলারদের মধ্যে একজন। আর তিনি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুটি দলেই অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন। একদিকে মমতা ব্যানার্জী আজ যখন বিজেপিকে বাংলা থেকে উৎখাত করার কথা বলছেন। তখন বিজেপিতে এই বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের যোগ গেরুয়া শিবিরের বড় উপলব্ধি।
Mamata Banerjee formed her govt on the dead bodies of the martyrs who fought for democracy on 21st July, 1993. Did the martyrs get justice? Not a single conviction till date. On the contrary her government has martyred more than 100 BJP workers. #MamatarShahidProhoson
— Locket Chatterjee (@me_locket) July 21, 2020
আরেকদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জীর এটাই শেষ ২১ শে জুলাই বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। করোনার জেরে এবার বড় জমায়েত বন্ধ। তাই একুশে জুলাইয়ের বক্তৃতা এবার ভার্চুয়ালি দেন দলের সুপ্রিমো। মঙ্গলবার নিউ টাউনের ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। তিনি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন করে বলেন, যাঁরা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা যে দলেরই হোক, বাংলার মানুষ তাঁকে স্মরণ করবে।
LIVE : Press conference by BJP State President Shri @DilipGhoshBJP
Watch : https://t.co/Tn81hf7z32
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) July 21, 2020
তিনি বলেন, সেদিন পুলিশ এক জায়গায় গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুলি, বন্দুক,বোমের আওয়াজ আসছে আর বিরোধীদের ধরে টানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ মানেই মমতা ব্যানার্জীর ড্রামা। এটা বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জীর এটাই শেষ ২১ শে জুলাই। দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞলি দিতেই হয়, যিনি তা করছেন, তাঁকে অঙ্গীকার করতে হবে, আর কোনও বিরোধীর গায়ে হাত পড়বে না।