বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে গ্রেফতার দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ৬ সদস্য (Delhi fact finding committee Members Arrested)। প্রথমে ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। পুলিশি বাধায় পাল্টা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপরই টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ওই সদস্যদের।
সন্দেশখালি যাওয়ার ৫২ কিমি আগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের আটকে দেওয়া হয়। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে তাই সেখানে যাওয়া যাবে না। এই যুক্তি দেখিয়েই তাদের আটক করা হয়। ইতিমধ্যেই ওই ৬ সদস্যদের অ্যারেস্ট করা হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, ওই ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি।
এদিন ধর্মতলার একটি হোটেলে ওঠেন তারা। সেখানেই তাদের নোটিস ধরানো হয়। প্রতিনিধি দলের দাবি, রবিবারই তাদের চিঠি দিয়ে বলা হয়, সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই আইন মোতাবেক তাদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: জোট দেবে মাত? বাংলায় কত শতাংশ ভোট পকেটে পুরবে বাম-কংগ্রেস? সমীক্ষায় চমকপ্রদ রিপোর্ট
যদিও ওই টিমের সদস্যরা স্পষ্ট জানান, তারা কোনও রকম আইন ভাঙবেনা না। যে এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জন ওই গ্রামে ঢুকবেন। তবে সন্দেশখালি তারা যাবেনই। যদিও গন্তব্যে পৌঁছানো হল না। সন্দেশখালি ঢোকার আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। বসিরহাটের পুলিশ সুপারই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই আটকানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায়। পুলিশি বাধা না মানায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ছেড়েও দেওয়া হবে জানা গিয়েছে।