বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই নানান জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অনেকেই ভাবছিলেন তবে কি এটাই শেষ? তবে কাল জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পরেই লিওনেল মেসি জানিয়ে দিলেন যে, এখনই দেশের জার্সিতে অবসর নিচ্ছেন না তিনি। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চান আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
এখন প্রশ্ন হল আর কি পাওয়া বাকি আছে লিওনেল মেসির। কেন সব জয় করার পরও এখনো দেশের হয়ে ফুটবল খেলে যেতে চান তিনি। এই মুহূর্তে তিনি যদি ফুটবল ছেড়ে দেন তার ভক্তরাও খুব বেশি অখুশি হতে পারবেন না তাকে নিয়ে। কারণ তিনি তাদের সমস্ত রকম আনন্দ উপহার দিয়ে তারপরেই অবসর নিচ্ছেন।
এখন যাবতীয় পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে মেসি নিজের মাথায় এখনো একটি রেকর্ড টার্গেট করে রেখেছেন। এখনো অবধি আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের হয়ে ৯৮টি গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় ফুটবলের হিসেবে এ দেশের জার্সিতে ১০০ টি গোল করার রেকর্ডটি মাথায় রেখেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
দেশের জার্সি গায়ে ১০০ গোল করার কৃতিত্ব এর আগে অর্জন করতে পেরেছেন কেবলমাত্র দুজন। প্রথমজন হলেন ইরানের আলী দাই। অপরজন হলেন লিওনেল মেসির চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। দুই বছর আগে সুইডেনের বিরুদ্ধে ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে ১০০ গোলের রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন সিআরসেভেন।
এরপর বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করবে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পর্তুগাল যখন ম্যাচের অন্তিম মুহূর্ত অবধি ১-০ ফলে পিছিয়ে, তখন ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগে সংযুক্ত সময়ে জোড়া গোল করে ইরানের আলী দাই-কে টপকে গিয়েছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তার ওই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই কাতার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছিল পর্তুগাল। মেসি হয়তো রোনাল্ডোর আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ড ভাঙতে চান। এইমুহূর্তে রোনাল্ডোর আন্তর্জাতিক গোল সংখ্যা ১১৯। মেসি তার থেকে আপাতত ২১ টি গোলে পিছিয়ে রয়েছেন। মেসির বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেকেই হয়তো রোনাল্ডোকে আর সর্বকালের সেরার হিসেবের মধ্যে আনবেন না। কিন্তু যারা দিনের পর দিন ফুটবল চর্চা করে দিন কাটান, তারা জানেন যে পর্তুগালকে রোনাল্ডো কোথা থেকে কোথায় এনেছেন।
মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার শুরু করার আগেই আর্জেন্টিনার ঘরে ছিল ২টি বিশ্বকাপ সহ ১৭টি ট্রফি। মেসির সময়কালে সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ তে। রোনাল্ডো যখন পর্তুগালের হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন তখন পর্তুগালের ভাড়ার ছিল শূন্য। সেখান থেকে পর্তুগালকে ইতিহাসের প্রথমবারের জন্য দুটি ট্রফি জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশ্বকাপ হয়তো তিনি পাননি, কিন্তু বিশ্বকাপ দিয়ে তার যোগ্যতা বিচার করাটা বোকামো ছাড়া কিছুই না।