ভারতের সহায়তায় এবার এই দেশেও চলবে মেট্রো, প্রকাশ্যে এল বড়সড় তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, ভারতের (India) পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের মরিশাস মেট্রো এক্সপ্রেস (Mauritius Metro Express) প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়টি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মরিশাসের লাইট রেল ট্রানজিট (LRT) সিস্টেমটি দেশের জটিল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টগুলির মধ্যে অন্যতম একটি।

এদিকে, ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি ভারতীয় সংস্থা Larsen and Turbo-কে এই সংক্রান্ত চুক্তি হস্তান্তর করা হয়। জানিয়ে রাখি যে, ১৯৬০-এর দশকে মরিশাসে পুরোনো লাইনগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে মেট্রো এক্সপ্রেস ট্রেন, ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথম বিনিয়োগকে চিহ্নিত করে।

মিন্টের একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, মেট্রো প্রকল্পের জন্য এই অর্থের জোগান বিভিন্ন অনুদান এবং ভারত দ্বারা সরবরাহ করা লাইন অফ ক্রেডিটের মাধ্যমে ঘটেছে। এই প্রকল্পের ৩ থেকে ৪ কিমি দীর্ঘ তৃতীয় পর্যায়টি, যেটি রোজ-হিলকে রেডুইটের সাথে সংযোগ করেছে সেটি চলতি বছর অর্থাৎ সালের জানুয়ারিতে সম্পন্ন হয় এবং উদ্বোধনও করা হয়।

এমতাবস্থায়, ১০ থেকে ১৫ কিমি দীর্ঘ ফেজ ৪, যেটি রেডুইট থেকে কোট ডি’অর পর্যন্ত লাইন প্রসারিত করেছে সেটি শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে এবং জানা গিয়েছে তা ২০২৪ সালের শেষের দিকেই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে মরিশাসে ভারতের হাইকমিশনার কে নন্দিনী সিংলার মতে, রেডুইট থেকে কোট ডি’অর পর্যন্ত মেট্রো এক্সপ্রেসের সম্প্রসারণ ২৫ মিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ভারতের ক্রেডিট লাইন দ্বারা সম্পন্ন হবে।

whatsapp image 2023 05 19 at 1.39.04 pm

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন মরিশাসে প্রায় ১৪ মিলিয়ন মানুষ মেট্রোতে চলাচল করেন। এমতাবস্থায়, রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (RITES) এই প্রকল্পে কনসাল্টিং সার্ভিস প্রদান করেছে। এদিকে, মেট্রো এক্সপ্রেস লাইন ছাড়াও, ভারত সরকার নতুন সুপ্রিম কোর্ট, নতুন ইএনটি হাসপাতাল, সিভিল সার্ভিস কলেজ, নতুন ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং বিপুল সংখ্যক সামাজিক আবাসন ইউনিটকে অর্থ সাহায্য করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর