বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছিল হুগলির বাণীমন্দির প্রাথমিক স্কুল থেকে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় গত সপ্তাহে একদিন স্কুলে গিয়ে দেখেন, ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র নুন দিয়ে ভাত খাচ্ছেন। এরপরই এই বিষয় নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে।
ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেবে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন রত্নাকর রাও। তিনি নিজে একদিন ওই স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বসে ডিম ভাত খান। আর বিজ্ঞপ্তি করে জানিয়ে দেন যে, জেলার সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিলের মেনু বদলে যাচ্ছে। এই একই দিনে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনও মিড ডে মিলের মেনু বদলে দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষরও করেন এই দুুই জেলাশাসক।
কিন্তু এই প্রসঙ্গ উঠতেই ‘থ’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কারণ মিড ডে মিলের মেনু পরিবর্তনের কথা তার নাকি জানাই নেই।
মিড-ডে-মিল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” মিড ডে মিলে আমরা পড়ুয়া পিছু ৪ টাকা ৩১ পয়সা করে পাই। এই টাকায় ডিম খাওয়াবো কোথা থেকে? একটা ডিমের দাম কত? ৬ টাকা। তিনি আরও বলেন, ৪ টাকা ৩২ পয়সায় ভালো করে ডাল ভাত হয়না তো ডিম! আমি বলছি, মিড ডে মিলে ভাত ডাল আর একটা তরকারি পেটভরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।
“যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে মিড ডে মিলের মেনু বিজ্ঞপ্তি জারি করায় ওই দুই জেলাশাসকের ওপর ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।