বাংলাহান্ট ডেস্ক: একের পর এক কাজ করে সারা দেশের মানুষের মন জয় করে নিচ্ছেন সোনু সূদ (sonu sood)। পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant workers) ত্রাতা হয়ে উঠেছেন তিনি। যে যেখানেই বিপদে পড়েছে, অর্থসঙ্কটে বাড়ি ফিরতে পারছে না, সোনুর সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তিনি অবতীর্ণ হচ্ছেন ত্রাতার ভূমিকায়।
উদ্ধারপ্রাপ্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা নানা ভাবে কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছেন সোনু সূদের প্রতি। এক অন্তঃসত্ত্বা পরিযায়ী শ্রমিক মহিলাকে বাড়ি ফিরিয়েছিলেন অভিনেতা। নিজের সদ্যোজাত সন্তানের নাম সোনুর নামে রেখেছিলেন তিনি। এবার এক পরিযায়ী শ্রমিক নিজের রাজ্যে ফিরে দোকানের নামকরণ করলেন সোনু সূদের নামে।
ওড়িশাবাসী ওই শ্রমিককে বিমানে কোচিন থেকে উদ্ধার করেন সোনু। রাজ্যে ফিরে নিজের দোকান খোলেন তিনি। নাম দেন ‘সোনু সূদ ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ’। দোকানের সাইনবোর্ডে রেখেছেন অভিনেতার ছবিও। এভাবেই উদ্ধারকারীকে সম্মান জানিয়েছেন ওই শ্রমিক।
https://www.instagram.com/p/CC0H0O2AKgd/?igshid=19ymel4pbpash
তবে লকডাউন উঠে গেলেও এখনও অনেক শ্রমিকই আটকে রয়েছেন ভিন রাজ্যে। পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলেও দীর্ঘ লকডাউনের কারনে তাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই ঘরে ফেরার। এমতাবস্থায় এখনও অনেকে সোনুর সাহায্যপ্রার্থী হচ্ছেন। এমনই একজন সুভাষ মহাপাত্র। আদতে বাংলার মানুষ হলেও পেটের টানে মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে থাকেন তিনি। বাড়ি ফিরতে চেয়ে সোনুর কাছে সাহায্য চান তিনি। একটি ভিডিওতে তিনি জানান, নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে চান তিনি। মা মৃত্যুশয্যায়। গান করার পাশাপাশি গাড়ি চালানোও সুভাষবাবুর পেশা। কিন্তু লকডাউনে চলে গিয়েছে দুটো কাজই। এর আগেও সোনুকে টুইট করার কথা জানিয়েছিলেন সুভাষবাবু। কিন্তু কোনও উত্তর পাননি।
টুইটটি নজরে আসতেই উত্তর দেন সোনু সূদ। তিনি লেখেন, ‘মাকে বলে দিন আপনি ঘরে ফিরছেন। ভগবান ওনাকে দীর্ঘায়ু দিন। দেরি হওয়ার জন্য ক্ষমা করবেন।’
आमच्या पोलिस कर्मचार्यांना 25,000 फेस शिल्ड देऊन दिलेल्या अतुलनीय योगदानाबद्दल मी @SonuSood जी आपले आभार मानतो. pic.twitter.com/jG1dKIC5dP
— ANIL DESHMUKH (@AnilDeshmukhNCP) July 16, 2020
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই করোনা মোকাবিলায় মুম্বই পুলিসকে ২৫০০০ ফেস শিল্ড প্রদান করেছেন সোনু সূদ। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বইও লেখা শুরু করেছেন তিনি। সোনুর কথায়, “আমি নতুন বন্ধু বানিয়েছি। আমি ঠিক করেছি এই সব অভিজ্ঞতা, গল্প যা আমার মনের খুব কাছের তা বইয়ের আকারে প্রকাশ করব।”