বাড়ি ফিরতে সাইকেল চুরি করলেন পরিযায়ী শ্রমিক, ক্ষমা চেয়ে লিখলেন চিঠি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে লকডাউন চলছে দেশের সর্বত্র। এই সময় কাজ হারিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant workers)। বর্তমানে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও, বাড়ি ফেরার তাড়নায় পায়ে হাঁটার পথ বেছে নিয়েছিলেন অনেকে।

cycle120170802190909

লকডাউনের জেরে আটকে পড়েন পরিযায়ী শ্রমিক
এরকমই এক পরিযায়ী শ্রমিক উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা মহম্মদ ইকবাল কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন রাজ্য রাজস্থানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রতিবন্ধী সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই লকডাউনে আটকা পড়ে যান তিনি। অর্থভাব এবং খাদ্যাভাবে সেখান থেকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি সাইকেল (Cycle) চুরি করে  প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে ভিটের উদ্যেশ্যে পাড়ি দেন।

সাইকেল চুরি করায় মর্মাহত শ্রমিক
পেশাগত দিক থেকে চোর না হওয়া সত্ত্বেও সাইকেল চুরি করায়, নিজের মনকে স্বান্তনা দিয়ে পারছিলেন না তিনি। চুরি করার পর থেকে বারবার বিবেক দংশনে শেষ হয়ে যাচ্ছিলেন মহম্মদ ইকবাল। তাই শেষমেশ না পেরে সাইকেল মালিকের উদ্যেশ্যে রেখে গেলেন এক খোলা চিঠি।

ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে চিঠি রাখলেন সাইকেল মালিকের উদ্যেশ্যে
চিঠিতে মহম্মদ ইকবাল এই সংকটের দিনে নিজের অসহায়তার কথা জানালেন সাইকেল মালিককে। সেই সঙ্গে চাইলেন ক্ষমাও। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাড়িতে পৌঁছানোর কথাও লিখলেন তিনি। ঘটনার পরবর্তীতে রাজস্থানে ভরতপুরের রারহা বাসিন্দা সাহাব সিং তাঁর বাড়ির বারান্দায় চিঠি পড়ে থাকতে দেখে হতবাক হয়ে যান।

সম্পর্কিত ঘটনা
লকডাউনের মধ্যে অনেক বেদনা দায়ক ঘটনা মানুষের সামনে উঠে এসেছে। কোথাও অসুস্থ মাকে নিয়ে সাইকেলে ক্রেট বাঁধিয়ে বাড়ির উদ্যেশ্যে পাড়ি দিচ্ছেন ছেলে। আবার কোথাও অর্থভাবে দুটো ষাঁড়ের মধ্যে অনেক সস্তায় একটি ষাঁড় বিক্রি করে নিজের কাঁধেই নাঙ্গল তুলে নিচ্ছেন কেউ। সেই গাড়িতে করে পরিবারের লোকজনদের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর