বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুলওয়ামায় (Pulwama) রবিবার জঙ্গিরা সেনার (Indian Army) টিমের উপর হামলা চানায়। এই হামলায় এখনো পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সন্ধ্যে ৫ঃ৪৫ নাগাদ জঙ্গিরা পুলওয়ামার পীরগাম এলাকায় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এর এক টিমের উপর গুলি চালায়। উনি জানান, সেনা পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করে। সেনার পাল্টা হামলায় ভয় পেয়ে যায় জঙ্গিরা, আর পালাতে বাধ্য হয়। এই হামলায় সেনার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আধিকারিক জানান, এলাকা সিল করে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে তল্লাশি অভিযান চালানও হচ্ছে।
জঙ্গি সংগঠনের ফান্ডিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া নজর রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থার (FATF) কোপ আর উপত্যকায় সেনার জবরদস্ত অ্যাকশনের পরে জম্মু কাশ্মীরে পাক সেনার কুকীর্তি জারি আছে। পাকিস্তানি (Pakistan) এজেন্সির মদতে এক বছরে জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মোহাম্মদ (Jaish-e-Mohammed) কাশ্মীরে ৪৫ জন যুবককে নিজেদের সংগঠনে যুক্ত করেছে। সুরক্ষা এজেন্সি গুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পর দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে যুবকদের গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশি করে সামনে এসেছে।
এই মামলার সাথে যুক্ত উচ্চ পদস্থ আধিকারিক অনুযায়ী, দুই বছরে ৮০ জনের বেশি যুবক গায়েব হয়েছে। আর তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছে, আর তাঁদের ট্রেনিং আলাদা আলাদা স্তরে চলছে। সুত্র থেকে জানা যায় যে, পুলওয়ামা হামলার মূল জঙ্গি আদিল ডারকে বুরহান ওয়ানির মতো শহীদ বানিয়ে যুবকদের জঙ্গি খাতায় নাম লেখাতে উদ্বুদ্ধ করছে পাকিস্তান।
সুত্র অনুযায়ী, ২০১৯ এর আগস্টে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর উপত্যকার জঙ্গি সংগঠন গুলো নাশকতার অনেক খতরনাক ষড়যন্ত্র করেছিল। যদিও, সুরক্ষা এজেন্সি-সেনা আর কাশ্মীর পুলিশের লাগাতার চলতে থাকা অভিযানে একের পর এক জঙ্গি প্রাণ হারানোর ফলে পাকিস্তান তাঁদের এই প্রচেষ্টায় সফল হতে পারছে না।
কিন্তু ২০১৯ এর পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরের দূর-দূরান্তের এলাকা গুলো থেকে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানর জন্য যুবকদের মধ্যে হিড়িকটা একটু বেশিই জেগেছে। তবে ভারতীয় সেনা এনকাউন্টারের সময় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে জঙ্গিদের মা-বাবাকে ডেকে তাঁদের আত্মসমর্পণ করার আবেদনও করে। কিন্তু এই মামলায় তেমন কোন সফলতা হাসিল করে নি সেনা।