বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে গরুর দুধের চল কমেছে অনেকটাই। কলকাতা তো বটেই, বিভিন্ন শহর এমনকি মফস্বল অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই ভরসা রাখেন দোকানে বিক্রিত প্যাকেটজাত দুধের (Milk) উপর। খুব সহজেই পাড়ার দোকান বা অনলাইন মাধ্যমে কিনে নেওয়া যায় এই ধরনের পাউচ দুধ (Milk in Plastic Pouch)।
প্যাকেটজাত দুধ (Milk) কি আদৌ ভরসাযোগ্য ?
তবে যে ধরনের প্লাস্টিকের মাধ্যমে এই দুধ প্যাকেটজাত করা হয়, সেই প্লাস্টিকের গুণগত মান নিয়ে থেকেই যায় হাজারও প্রশ্ন। দুধের প্যাকেটে যে প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হয় তার বর্জ্য পরিমাণ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের। দুধের (Milk) প্লাস্টিকের এই পাউচ থেকে হওয়া দূষণ নিয়ে এখন চিন্তিত সব মহলই।
আরোও পড়ুন : জোড়া বিদায় জলসার সিরিয়ালে, রাতারাতি বদলে গেল নায়ক! এন্ট্রি নিলেন এই অভিনেতা
বোতলজাত করে দুধ বিক্রয় হলে এই ধরনের সমস্যা মাথা ব্যথার কারণ হত না সাধারণ মানুষ বা প্রশাসনের কাছে, কিন্তু দুধের প্যাকেটের বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল। ডেয়ারি সংস্থাগুলি বোতলজাত করে দুধ বিক্রির পরিকল্পনা করলেও খরচের বিষয়টি ভেবে সেই ভাবনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা।
আরোও পড়ুন : আজকের রাশিফল ১৯ ফেব্রুয়ারি, বড়সড় সুসংবাদ পাবে এই চার রাশি
এমনকি প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে কেরালার ডেয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলি মিল্ক এটিএম চালু করলেও সেটিও খুব একটা সফলতার মুখ দেখেনি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পাউচের মাধ্যমে যে দুধ বিক্রি হয় সেখানে দুধের সাথে প্লাস্টিকের সংমিশ্রণ ঘটে যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শারীরিক কারণে এইভাবে প্লাস্টিকের পাউচের মাধ্যমে দুধ বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত।
যদিও ডেয়ারি সংস্থাগুলি (Dairy) এমন দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে জানিয়েছে, দুধের পাউচ তৈরিতে যে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় সেগুলি যথেষ্ট উন্নতমানের। এই প্লাস্টিক থেকে কোনওরকম ক্ষতি হয় না মানব শরীরে। পাশাপাশি দুধ বোতলজাত করে বিক্রি করলে তার খরচের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে ডেয়ারি সংস্থাগুলি।