বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স তার ১৬ বছর। পড়াশোনাও করেছে নবম শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তু এই পার্থিব জগতের প্রতি তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আর সেই কারণেই বাবার কোটি টাকার ব্যবসায় আগ্রহ না নিয়ে সে ঐশ্বরিক পথ বেছে নিয়েছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার বদনাভারে অবস্থিত নাগদা গ্রামের এক কিশোরের। জানা গিয়েছে, এই কিশোরের বাবা মুকেশ এলাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং অচল তার একমাত্র ছেলে।
সূত্রের খবর, গত দুই বছর ধরে অচল গুরু ভগবন্তদের সান্নিধ্যে ছিল। তারপর থেকেই তার মধ্যে ঈশ্বরভক্তি তীব্র হয়ে ওঠে। আর এখন সে তপস্যা করে সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অচল অবশ্য তার সন্ন্যাসগ্রহণ প্রসঙ্গে বলে যে, বছর দুই আগে ২০২০ সালে নাগদায় বর্ষাকালের সময় হঠাৎ করেই তার মনে শান্তির বার্তা নিয়ে পথে হাঁটার চিন্তাভাবনা আসতে শুরু করে। তারপরেই ভারতের নানান প্রান্তে সে বেরিয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, অচল এখনও পর্যন্ত নাগদাসহ অন্যান্য অনেক শহরে গিয়েও সে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি হেঁটেছে। সেই তালিকায় আছে অষ্ট, ভোপাল, সুজালপুরের নাম। অচল, রবিবার গুরুদেব উমেশ মুনির শিষ্য জিনেন্দ্র মুনির কাছে একটি অনুষ্ঠানে দীক্ষিত হন। অচল দীক্ষা নেওয়ার পর দীক্ষা মহোৎসবে জয় জয় নাম ধ্বনিত হয়।
মালওয়া মহাসঙ্ঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সন্তোষ মেহতা জানিয়েছেন যে অচল হলো কনিষ্ঠতম ব্যক্তি যে দীক্ষা নিয়েছেন নাগদায়। এর আগে ১৯৮০ সালে, নাগদার কন্যা সাধ্বী মধু মাসা দীক্ষা নিয়েছিলেন। তবে এই ব্যাপারে অচলের বাবা-মা দুজনেই খুশি এবং তাঁরা বলেন যে এই পৃথিবীতে টাকা ছাড়া আর কিছুই নেই দেখানোর, তাই যত টাকাই পান না কেন শান্তি নেই। সেজন্য তাঁরা তাঁদের ছেলেকে এই আধ্যাত্মিক পথে যেতে বাধা দেননি।