বাংলাহান্ট ডেস্ক: একটি বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার করায় সমস্যার মুখে পড়লেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ‘অফিস অফ প্রফিট’ বিতর্কের সূত্রপাত হওয়ায় প্রশ্নের মুখেও পড়তে পারে মিমির সাংসদ হিসাবে লোকসভায় থাকা।
সম্প্রতি বিদ্যা বালানের সঙ্গে একটি জনপ্রিয় বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সেখানে নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার করতে দেখা যায় তাঁকে। এর থেকেই সূত্রপাত হয়েছে ‘অফিস অফ প্রফিট’ বিতর্কের। এর জেরে অভিনেত্রীর সাংসদপত্র খারিজও হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে সংসদের নিয়ম-নীতি যারা দীর্ঘদিন ধরে চর্চা করছেন তাঁরা বলছেন, সাংসদদের আদর্শ আচরণ বিধিতে যে ‘স্বার্থের সংঘাত’ সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে তা পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছেন মিমি। অর্থাৎ কোনও বাণিজ্যিক সংস্থার স্বার্থে নিজের জনপ্রতিনিধি পরিচয় ব্যবহার করতে পারেন না তিনি।
এর জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন মিমি। লোকসভার স্পিকার বা এথিক্স কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের হলে তাঁকে জবাবদিহিও করতে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে তৃণমূলের কেউই মিমিকে ঘিরে এই বিতর্কের বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি। অপরদিকে মিমি নিজে বলছেন, এত কিছু নিয়ম আছে তা চিনি জানতেন না। তাঁকে যা পড়তে বলা হয়েছিল তিনি শুধু তাই পড়ে দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে বিতর্কিত অংশটা তিনি বাদ দিতে বলবেন বলেও জানিয়েছেন মিমি।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে মিমি ও বিদ্যা বালানের বিজ্ঞাপনটি। সেখানে চুল বাঁধতে সময় লাগায় বিদ্যার প্রশ্নের উত্তরে মিমিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনি এখন জনপ্রতিনিধি। তাই খোঁপা করেই চুল বাঁধবেন।