৫ বছরে খরচ এমপি ল্যাডের ১৭ কোটি! মমতাকে ইস্তফাপত্র দিয়েই কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন মিমি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক তারকা সাংসদের জন্য লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদদের বিভিন্ন মন্তব্য ও কার্যকলাপ এখন দলের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার নিজের ইস্তফাপত্র দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

পরিষ্কার ভাষায় মিমি বলেছেন, রাজনীতি তাঁর জায়গা নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দীতা করতে চান না। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার মিমি চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন। হিসাব দিয়ে মিমি জানান, গত পাঁচ বছরে যাদবপুর এলাকার জন্য তিনি ১৭ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

আরোও পড়ুন : ২৫ কেজি বিরল মাছ উদ্ধার সুন্দরবনে, বিক্রয় মূল্য শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন

গতকাল সমালোচকদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে মিমির বক্তব্য ছিল, ‘সাংসদ ফান্ডের কত টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে, কোথায় কাজ হয়েছে, সেই তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালেই পেয়ে যাবেন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, সেটা যাচাই করে নিন। আর সেটাই আমার গর্বের কারণ।’ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে গত পাঁচ বছরে কোথায় কত টাকা খরচ করেছেন তার হিসাব আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন মিমি চক্রবর্তী।

আরোও পড়ুন : উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে এবার বড়সড় ইঙ্গিত হাইকোর্টের! দীর্ঘ ৯ বছর পর মিলছে আশার আলো

মিমি লিখেছেন,  ‘আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন করেছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্য করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত ৫ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।’

Mimi Chakraborty Photos 1

মিমি চক্রবর্তীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে তিনি সাংসদ খাতের ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন বারুইপুর পশ্চিমের জন্য। এমপি ল্যাডের ২ কোটি ২ লক্ষাধিক টাকা বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায় খরচ করা হয়েছে। সব থেকে বেশি পাঁচ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে দক্ষিণ সোনারপুরের জন্য। টলিগঞ্জ ও যাদবপুর বিধানসভা এলাকার উন্নয়নে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ এবং ১ কোটি ২৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ করা হয়েছে বলে দাবি মিমির।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর