তলপেটে দৃষ্টিকটু দাগ, পালকের ট‍্যাটু এঁকে দাগ ঢাকেন মিমি চক্রবর্তী!

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাল আমলে সকলের চোখে বিশেষ ভাবে নজর কাড়ার জন‍্য ট‍্যাটুর (tattoo) গুরুত্ব অপরিসীম, একথা মানতেই হবে। আগে শুধুমাত্র হাতে বা পায়েই ট‍্যাটু করাতেন অনেকে। কিন্তু এখন ব‍্যিপারটা নিয়ে মাতামাতি এমনি বেড়েছে যে অনেকে গোটা শরীরেই ট‍্যাটু এঁকে নেন। হালে ট‍্যাটু খুব ট্রেন্ডি হলেও এরই দেশি নাম উল্কি কিন্তু বহুযুগ ধরে চলে আসছে।

মূলত ফ‍্যাশনেবল দেখানোর জন‍্যই এখন বেশিরভাগ মানুষজন ট‍্যাটু করালেও অনেকেই শরীরের নানান দাগ ঢাকার জন‍্যও ট‍্যাটু করান। খাস টলিউডেই রয়েছে এমন উদাহরণ। টলি ডিভা মিমি চক্রবর্তী (mimi chakraborty) নিজের পেটের একটি দাগ ঢাকার জন‍্য ট‍্যাটু করিয়েছেন। শরীরে দু দুটি ট‍্যাটু রয়েছে মিমির। দুটোর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে গল্প।


মিমির ডান হাতে নটরাজ মূর্তির ট‍্যাটুটি তো সকলেই দেখেছেন। মিমির ব‍্যক্তিত্বকে নিঃসন্দেহে আলাদা মাত্রা দেয় এই বিশেষ ট‍্যাটু। তবে যে ট‍্যাটুটির বিষয়ে এত আলোচনা সেটি এই ট‍্যাটু নয়। সেটি একটি পালকের ট‍্যাটু। মিমির ডান দিকের তলপেটে রয়েছে এই পালকের ট‍্যাটুটি।


জানা যায়, পেটের একটি দাগ লুকোনোর জন‍্য এই ট‍্যাটুটি করিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আসলে পেটের ওই স্থানে অ্যাপেনডিক্সের অস্ত্রোপচারের কাটা দাগ ছিল মিমির। ক্রপ টপ বা লেহেঙ্গা চোলি কিংবা স্বচ্ছ শাড়িতে দাগটা দৃষ্টিকটু লাগত মিমির কাছে। তখনি ট‍্যাটু করানোর সিদ্ধান্ত। মিমি নিজেই এই ট‍্যাটুর নেপথ‍্যের কাহিনি জানিয়েছিলেন। এখন প্রায়ই তলপেটের ট‍্যাটুটি ফ্লন্ট করে ছবি তোলেন তিনি।


এবার আসা যাক মিমির হাতের নটরাজের ট‍্যাটুটিতে। এটি তাঁর প্রথম ট‍্যাটু। মিমির বেশিরভাগ ছবিতে হাতের এই নটরাজের ট‍্যাটুটি দেখা যায়। এটি তাঁর জন‍্য খুব সৌভাগ‍্য নিয়ে আসে বলে মনে করেন মিমি। উল্লেখ‍্য, মিমির এক সময়কার ‘বোনুয়া’ নুসরত জাহানেরও বুকের বাঁদিকে একটি ট‍্যাটু রয়েছে। গুঞ্জন শোনা যায়, ছেটবেলার এক বন্ধু ভিক্টরের সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল বলে। এই ভিক্টরের নামেই নুসরতের বুকের ট‍্যাটু। তাঁদের বিচ্ছেদের পর ‘Y’ যোগ করে ‘ভিক্টরি’ বানিয়ে নেন নুসরত।

সম্পর্কিত খবর

X