বাংলাহান্ট ডেস্ক: কয়লা কাণ্ড, গোরু পাচার কাণ্ড, এসএসসি দুর্নীতি, সম্পত্তি বৃদ্ধির মতো একাধিক অভিযোগে কোণঠাসা রাজ্যের শাসক দল। বিগত এক মাস ধরেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) একাধিক নেতামন্ত্রীকে বিভিন্ন মামলায় তলব এবং পরে গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। দলের অধিকাংশ নেতাণন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তখন সেটা বাকিদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর? তৃণমূলের সাংসদ হিসাবে সম্প্রতি এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে শোনা গিয়েছে মিমি চক্রবর্তীকে (Mimi Chakraborty)।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ নির্বাচিত হন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তারপর থেকে রাজনৈতিক মঞ্চে, দলীয় সভা সমাবেশে বহুবার চোখে পড়েছে তাঁর উপস্থিতি। কিন্তু এখন যখন দলীয় সদস্যদের অবস্থাই বেশ কোণঠাসা, একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, মিমির ভাবমূর্তিতে কি তার কোনো প্রভাব পড়ছে?
কিছুদিন আগে তৃণমূলেরই প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো দাবি করেছিলেন, মিমি, নুসরত, জুন মালিয়ারা নাকি লুটেপুটে খাচ্ছেন। সে সময়ে এহেন অভিযোগের কোনো উত্তর মিমি দেননি। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, তিনি কোনো রকম দুর্নীতি করেননি। তাই তাঁর গায়ে কোনো দাগ লাগবে না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গেই জড়িয়ে নেই তিনি।
মিমি বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে রাজনীতিতে এসেছেন। আর তাঁর কথা মতোই কাজ করে যাবেন। তবে মিমি এও স্বীকার করেছেন, একটি মাছ গোটা সরোবরের জল নোংরা করে দিতে পারে। তবে তার আগেই মাছটিকে ধরে বাদ দেওয়া হয়। মিমির এই ইঙ্গিত কার উদ্দেশে ছিল তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
যাদবপুরের সাংসদ হওয়ার পর দায়িত্ব বেড়েছে মিমির। তবে নিজের এলাকায় কমই যেতে দেখা যায় তাঁকে। তৃণমূলের সভা, মিছিলে অবশ্য অংশ নেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তো দলে নতুন তারকা যোগ এবং দল বদলের ঘটনা প্রচুর দেখা গিয়েছে। মিমির ইন্ডাস্ট্রির বহু সহকর্মীই যোগ দিয়েছেন সবুজ শিবিরে।
ভবিষ্যতে কি মিমিকেও কখনো দল বদলাতে দেখা যাবে? বিজেপি বা বিরোধী কোনো দলে কি তিনি যোগ দেবেন? প্রশ্নটা একেবারে উড়িয়ে দেননি মিমি। তিনি উত্তর দিয়েছেন, সেটা সময় বলবে। তবে বিজেপির বিভিন্ন নেতামন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও নানান প্রশ্ন উঠছে। সেসবের উত্তর আগে পাওয়া দরকার বলে কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি মিমি।