বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভুয়ো করোনা টিকা (fake vaccine) নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মিমি চক্রবর্তী (mimi chakraborty), এই খবর ছড়াতেই তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক তথা বিনোদন জগতে। সাংসদ অভিনেত্রীর তৎপরতাতেই ফাঁস হয়েছিল ভুয়ো টিকাচক্রের পর্দা। কিন্তু ফাঁদে পড়ে মিমি নিজেও নিয়ে ফেলেছিলেন ওই ভুয়ো টিকা। তারপর দিন কয়েক পরেই আচমকা ডিহাইড্রেশনের শিকার হন তিনি। রক্তচাপ কমে যায়, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়।
অবশ্য তারপরেই চিকিৎসকরা মিমিকে পরীক্ষা করে জানান তাঁর অসুস্থতা ভুয়ো টিকার কারণে নয়ৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে স্পষ্ট করে দেন, মিমির আগে থেকেই গলব্লাডারের সমস্যা ছিল। অসুস্থতা সেই কারণেই। বেশ কিছুদিন নেটদুনিয়া থেকে দূরে থাকার পর অবশেষে সোশ্যাল অনুরাগীদের জন্য বার্তা দিলেন মিমি।
এদিন নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে একগুচ্ছ তরতাজা লিলি ফুলের ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী জানান, তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আর তাঁর গলব্লাডারের সমস্যাও দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মিমি। অভিনেত্রী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছেন, যারা করেননি, যারা তাঁর প্রতি সদয় ছিলেন, যারা কটাক্ষ করেছেন সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মিমির কথায়, এতে তিনি আরো শক্তিশালী হয়েছেন, আকাঙ্খাও বেড়েছে। এই কদিনে খারাপ সময় কাকে বলে তা তিনি বুঝে গিয়েছেন। শারীরিক ও মানসিক দুই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। তবে আবারো তিনি আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছেন। নেটদুনিয়ার অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেছেন মিমি। চিকিৎসকদের পরামর্শেই এতদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে ছিলেন তিনি।
https://www.instagram.com/p/CQu9Z1vMVwN/?utm_medium=copy_link
কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজন করা হয়েছিল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পটির। সংবাদ মাধ্যমে মিমি জানান, ওই ক্যাম্পের আয়োজকদের থেকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। দাবি করা হয়েছিল ওখানে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশু ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। সাংসদকে এও জানানো হয়েছিল জয়েন্ট কমিশনর অফ কেএমসির উদ্যোগে পরিচালনা করা হচ্ছে ওই ক্যাম্প। এরপরেই সেখানে উপস্থিত হয়ে টিকা নেওয়ার প্রচারের পাশাপাশি নিজেও টিকা নেন ওই ক্যাম্প থেকেই।
কিন্তু এরপর থেকেই খটকা লাগা শুরু হয় মিমির। কারণ টিকা নেওয়ার কিছুক্ষণ পর নিয়ম মতো ফোনে কোনো মেসেজ আসেনি সাংসদের। সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলেও ক্যাম্প থেকে জানানো হয় বাড়িতে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তা আসেনি। মিমির অফিসের লোক এরপর ক্যাম্পে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে জানানো হয় সার্টিফিকেট পেতে তিন চারদিন সময় লাগবে।
ওই ক্যাম্প থেকেই টিকা নেওয়া অন্যদের সঙ্গে মিমি যোগাযোগ করলে তারাও জানান তাদের সঙ্গেও ঘটেছে একই জিনিস। এরপরেই গোটা বিষয়টা প্রশাসনকে জানান মিমি। ইতিমধ্যেই ওই ক্যাম্পের আয়োজক দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে কসবা এলাকা থাকে।