বাংলাহান্ট ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন ভাঙড় এলাকা পরিদর্শনে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (mimi chakraborty)। টানা বৃষ্টিতে জলবন্দি বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন সাংসদ অভিনেত্রী। জুতো হাতে নিয়ে কাদা মাড়িয়েই বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের দুঃখ দুর্দশা শোনেন তিনি। সাহায্যের আশ্বাসও দেন।
ঘূর্ণাবর্তের জেরে গত রবিবার রাত থেকে বিরামহীন বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের। শহর থেকে জেলা, জলছবিটা সর্বত্রই একরকম। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের জলবন্দি মানুষের দুর্দশার কথা শুনেই সোমবার সেখানে ছুটে যান সাংসদ মিমি, সঙ্গে ত্রিপল এবং কিছু শুকনো খাবার। এদিন ভাঙড়ের বেশ কিছু জলমগ্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মিমি।
প্রথমেই ভাঙড় বিধানসভা এলাকার ভোজেরহাট পরিদর্শনে যান মিমি। সেখানে প্রায় একশো জন বাসিন্দার হাতে খাবার ও ত্রিপল তুলে দেন তিনি। এরপর প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামের পরিস্থিতি দেখতে পৌঁছান। কিন্তু সেখানের অবস্থা আরো খারাপ। জলবন্দি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য জলে নামা ছাড়া উপায় ছিল না মিমির। শেষে পায়ের জুতো খুলে হাতে নিয়ে কাদার উপর দিয়ে হেঁটেই বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছান মিমি।
তাদের সমস্ত দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন মন দিয়ে। মিমি আশ্বাস দিয়ে জানান, তাদের সমস্যার কথা জানতে পেরেই কলকাতা থেকে ছুটে এসেছেন তিনি। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে আলোচনা করে একটি স্থায়ী নিকাশি নালা তৈরির কথা বলেন মিমি। এরপর ব্যাওতা, চড়িশ্বর ও পাইকান এলাকাও ঘুরে দেখেন তিনি।
এর আগে গত বছর আমফানের পরে এবং চলতি বছরে ইয়াসের সময়ে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যেতে দেখা গিয়েছিল মিমিকে। দুবারই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুঃস্থদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছিলেন মিমি। কিন্তু তাঁর সঙ্গেই একই সময় নির্বাচিত তারকা সাংসদ নুসরত জাহানের অবশ্য দেখা পাওয়া যায়নি নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বসিরহাটে। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আপাতত সদ্যোজাত ছেলেকে নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।