বাংলাহান্ট ডেস্ক: মা তো মা-ই হয়। মায়ের জায়গাটা কেউ নিতে পারে না। কিন্তু মায়ের বিকল্প তো হতেই পারে। এই ভাবনা থেকেই তৈরি হয়েছে ‘মিনি’। এখানে ছোট্ট মিনির মাসির চরিত্রে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। মায়ের অবর্তমানে আনাড়ি হয়েও বোনঝিকে মায়ের জায়গাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
মিমির নিজের জীবনে মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। মায়ের জন্যই আজ পড়াশোনা শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন। অভিনেত্রী থেকে সাংসদও হয়েছেন। কর্মসূত্রে দূরে থাকলেও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন তিনি। আর মা কলকাতার বাড়িতে এলে তো কোনো কিছু নিয়েই কোনো চিন্তা করতে হয় না মিমিকে।
আসলে জলপাইগুড়ির মেয়ে মিমি। অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় আসা তাঁর। সেই থেকে রয়ে গিয়েছেন এখানেই। মাঝে মাঝেই অবশ্য জলপাইগুড়িতে গিয়ে সময় কাটিয়ে আসেন। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার কিছু ঘটনার স্মৃতি তুলে ধরেছেন মিমি।
একটা সময় এসেছিল যখন খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল তাঁর পরিবার। হয়তো পড়াশোনাটাই বন্ধ হয়ে যেত। সে সময়েও মাকেই পাশে পেয়েছিলেন মিমি ও তাঁর দিদিভাই। দুই মেয়ের পড়াশোনায় যেন কোনো প্রভাব না পড়ে সেটা নিশ্চিত করেছিলেন তাঁদের মা ই।
পড়াশোনা শেষ করে মিমি সিদ্ধান্ত নেন অভিনয়ে আসবেন। কিন্তু প্রথমে একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তাঁর মা। এমনকি পাঁচ ছয় বছর আগে পর্যন্তও মেয়ের সিদ্ধান্তটাকে ভাল চোখে দেখতেন না তিনি। এখন অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবুও কলকাতায় মিমির ফ্ল্যাটে এসে থাকলে কড়া শাসনে রাখেন মেয়েকে।
অভিনেত্রী জানান, শুটিং থেকে ফিরতে যদি রাত ১১-১২টা হয়ে যায় তখনি চলে আসে মায়ের ফোন। মেয়ে ঠিক সময়ে খেয়েছে কিনা মেসেজ করে জিজ্ঞাসা করেন। এমনকি শুটিংয়ে সহকর্মীদেরও ফোন করেন মিমির মা। তবে মায়ের এই শাসন বেশ ভালোই লাগে অভিনেত্রীর।
মিমির কথায়, তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি নিজেও খুব ভাল মা হবেন। কারণ নিয়ম মেনে জীবন যাপন করেন অভিনেত্রী। সবদিক সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। উপরন্তু অনেক বছর ধরেই দু তিন জন সন্তান রয়েছে মিমির। হোক না তারা চারপেয়ে। কিন্তু নিজের সন্তানের মতোই তাদের ভালবাসেন মিমি।