বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্য রাজনীতি তথা বিনোদন দুনিয়া তোলপাড় ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন (fake vaccine) ক্যাম্প নিয়ে। কসবার ওই জাল ভ্যাকসিন চক্রের পর্দাফাঁস করেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (mimi chakraborty)। কিন্তু ফাঁদে পড়ে মিমি নিজেও নিয়ে ফেলেছিলেন ওই ভুয়ো টিকা। তারপর দিন কয়েক পরেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন মিমি।
এখন অবশ্য অনেকটাই সুস্থ অভিনেত্রী সাংসদ। গলব্লাডারের সমস্যা থেকেই তাঁর এই অসুস্থতা বলে জানা গিয়েছে। তবে সুস্থ হয়েই তদন্তের কাজে সাহায্য শুরু করে দিয়েছেন মিমি। ইতিমধ্যেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে বয়ান রেকর্ড করিয়েছেন তিনি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সে বিষয়ে হলফনামা জমা দিয়েছে পুলিস। এছাড়াও তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র ও সাংসদ শান্তনু সেনের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।
এই মামলায় এখনো পর্যন্ত ৫০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সমন পাঠানো হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটের জেনারেল ম্যানেজারকে। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এই সংস্থাকেই চিঠি দিয়েছিল ধৃত দেবাঞ্জন দেব। তার জন্য একাধিক জাল ইমেল আইডিও বানিয়েছিল সে। সেগুলির হদিশের জন্য গুগলকেও চিঠি দিয়েছে গোয়েন্দারা। এই চক্রে মোট ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে খবর।
কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজন করা হয়েছিল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পটির। সংবাদ মাধ্যমে মিমি জানান, ওই ক্যাম্পের আয়োজকদের থেকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। দাবি করা হয়েছিল ওখানে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশু ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। সাংসদকে এও জানানো হয়েছিল জয়েন্ট কমিশনর অফ কেএমসির উদ্যোগে পরিচালনা করা হচ্ছে ওই ক্যাম্প। এরপরেই সেখানে উপস্থিত হয়ে টিকা নেওয়ার প্রচারের পাশাপাশি নিজেও টিকা নেন ওই ক্যাম্প থেকেই।
কিন্তু এরপর থেকেই খটকা লাগা শুরু হয় মিমির। কারণ টিকা নেওয়ার কিছুক্ষণ পর নিয়ম মতো ফোনে কোনো মেসেজ আসেনি সাংসদের। সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলেও ক্যাম্প থেকে জানানো হয় বাড়িতে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তা আসেনি। মিমির অফিসের লোক এরপর ক্যাম্পে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে জানানো হয় সার্টিফিকেট পেতে তিন চারদিন সময় লাগবে।
ওই ক্যাম্প থেকেই টিকা নেওয়া অন্যদের সঙ্গে মিমি যোগাযোগ করলে তারাও জানান তাদের সঙ্গেও ঘটেছে একই জিনিস। এরপরেই গোটা বিষয়টা প্রশাসনকে জানান মিমি।