বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় ইন্ডাস্ট্রি মানেই তার সঙ্গে জুড়বে নেপোটিজম (Nepotism), সে বলিউড হোক বা টলিউড। কিন্তু স্বজনপোষণের এত বাড়বাড়ন্তের মাঝেও এমন কিছু বলিউড তারকা আছেন যারা এই সুবিধাটা পাননি। নিজের যোগ্যতায় ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করতে হয়েছে তাদের। যারা পারেননি তারা হারিয়ে গিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন ‘ডিস্কো ডান্সার’ মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বড়ছেলে মিমোও (Mimoh Chakraborty)।
মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো, নামটা খুব একটা অচেনা নয় কারোর কাছে। বাবার মতো অভিনয়ে পা রেখেছিলেন তিনিও। ২০০৮ সালে ‘জিম্মি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল ছবিটি। বক্স অফিসে মাত্র ১ কোটি টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছিল জিম্মি। মাত্র কয়েকটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন মিমো। প্রতিটিই ফ্লপ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যর্থতা আর সমালোচনা নিয়ে মুখ খোলেন মিঠুন পুত্র। জানান, প্রতি পদক্ষেপে বাবার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাঁর। মিমোর কথায়, “বাবা সবসময় কাজ করেই চলেছেন। একদিকে হুনরবাজে বিচারক হয়েছেন, অন্যদিকে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে ‘বেস্টসেলার’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। দ্য কাশ্মীর ফাইলসেও অভিনয় করেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “চার বার জন্মানোর পরেও আমি বাবার মতো হতে পারব না। সবাই ভাবে যে আমি মিঠুনের ছেলে হওয়ার যোগ্য নই। আমি যদি খারাপ হই, ঠিক আছে। কিন্তু অন্তত এটা তো দেখুন যে মিমো কী করতে পারে। আমার কাজের ভিত্তিতে বিচার করুন।”
এর আগেও মিঠুনের সঙ্গে তুলনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মিমো। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর ভাই নমশিও বলিউডে পা রাখতে চলেছে। বিষয়টা সেও বুঝতে পারছে। কারণ মিঠুন চক্রবর্তী থামতে জানেন না। তিনি এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন।
মিমো বলেন, “আমার বাবা মা ফিল্মি দুনিয়ার। তাই আমি এমনিতেই এই দুনিয়ার মানুষ। এটা কোনো সুবিধা নয়। কেরিয়ারে কোনো সুবিধাই পাইনি আমি। বাবা কখনোই কারোর কাছে আমার হয়ে সুপারিশ করেননি। উনি আমাকে বলেছিলেন, কিছু দরকার হলে সেটা নিজেকেই অর্জন করতে হবে। পরিবারের নামের সুবিধাও কখনো ব্যবহার করতে দেননি বাবা। আমার ভাই নিজের লড়াই নিজে লড়ছে। আমিও সেটাই করছি।”