বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তার আগে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে সমস্ত রাজনৈতিক দলই নামছে ময়দানে। যুব প্রজন্মকে দলের মুখ করে লড়াইয়ে ঝাঁপাচ্ছে সিপিএমও (CPM)। যুব বাম নেতাদের গলায় এখন থেকেই উত্তপ্ত স্বর। বনগাঁয় যুব ফেডারেশন কর্মীদের সভা থেকে তৃণমূলকে রীতিমতো হুমকি দিলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। তিনি বলেন, ‘বেশি ট্যাঁফো কোরো না, টেংরি খুলে দিতে আমরাও জানি।’
গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে বৃহস্পতিবার বনগাঁর (Bongaon) গোপালনগরে একটি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের (DYFI) সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বনগাঁ থেকে যুব ফেডারেশনের কর্মীরা বাইক মিছিল করে সভাস্থলে তাঁকে নিয়ে আসেন। এদিনের মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে, কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে এই সভামঞ্চ থেকে বলতে চাই বেশি ট্যাঁফো কোরো না, টেংরি খুলে দিতে কিন্তু আমরাও জানি।’
মীনাক্ষী এদিন আক্রমণ করেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের জাতীয় পাখি পরিবর্তন হয়েছে। সাদা শাড়ি মাথায় ঝুটি কু কু করছে। সেটাই এখন জাতীয় পাখি।’ শুধু মমতা নন, এদিন মীনাক্ষীর আক্রমণের তির ধেয়ে আসে পার্থর দিকেও। জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সরস্বতী পুজোর ইচ্ছেপ্রকাশ নিয়েও উপহাস করেন তিনি। এরই সঙ্গে আরও দুই প্রাক্তন শিক্ষাকর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও মানিক ভট্টাচার্যকেও এদিন আক্রমণ বাম নেত্রী।
মীনাক্ষীর এই সমস্ত আক্রমণের জবাব দেয় তৃণমূলও। বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘একবার সিপিএমের দেখে নেওয়া উচিত ৩৪ বছরে যখন সরকারের ছিলেন তখন মানুষ ভোট দিতে যেতে পারতেন না। তাদের মুখে এটা মানায় না। ভোট ৫% থেকে ৬% ভোট কী করে নিয়ে যাওয়ার যায় সেটার জন্য কাজ করুক। বাচ্চা মেয়ে, এখনও অনেক বাকি আছে রাজনীতি।’