বাংলাহান্ট ডেস্ক : একই এলাকায় এবার বিরোধীর ভূমিকায় দুই বোন। শুধু বিরোধী বললে অবশ্য ভুল বলা হবে, দলগত দিক থেকে সাপে নেউলে সম্পর্ক হওয়া উচিত দুজনের। তবে দুই বোনের দাবি রাজনৈতিক মতাদর্শ কখনও প্রভাব ফেলেনি পারিবারিক সম্পর্কে। এই দুই বোন অবশ্য যে সে নন, একজন দাপুটে সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, অন্যজন তাঁরই খুড়তুতো বোন পেশায় শিক্ষিকা মুনমুন মুখোপাধ্যায়। এবার আসানসোলের পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মুনমুনকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এই অদ্ভুত রাজনৈতিক এবং পারিবারিক সমীকরণের ফলে কটাক্ষ করতে অবশ্য ছাড়েনি বিজেপি৷ যদিও সেসব কথায় কান দিতে নারাজ এই দুই বোন।
মীনাক্ষীর বাবা সাগর মুখোপাধ্যায় এলাকার নামজাদা সিপিএম নেতা। অন্যদিকে কাকা মহেশ্বর মুখোপাধ্যায় করেন তৃণমূল। একসময় এলাকার তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতিও ছিলেন। এহেন পরিবারে যে রাজনীতির নীতি নৈতিকতা নিয়ে দুবেলা যুদ্ধ লাগবেই তা জানাই কথা। তবে এই দ্বন্দ্বের কথা একেবারেই অস্বীকার করেছেন মীণাক্ষী এবং মুনমুন ।
মীণাক্ষী জানান, ‘আমরা গ্রামে থাকি। গ্রামের মানুষ কেউ দিদি, কেউ দাদা, কেউ বোন, কেউ কাকি কাকিমা। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। সম্পর্ক সম্পর্কের জায়গায়, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। আমি আমার দলের প্রচার করব, ও ওর প্রচার করবে। সম্পর্ক প্রচারের ক্ষেত্রে বাধা হবে না।,
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তুমুল শোরগোল রাজ্য জুড়ে। দুই বোন কীভাবে একই এলাকায় প্রচার চালাবেন তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। পুরো ঘটনাটির নিন্দা করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ‘তৃণমূল সিপিএমকে প্রজেক্ট করছে। সিপিএম তৃণমূলের বি টিম। প্রচারে কে কার দোষ ত্রুটি তুলে ধরে সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।’
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল পুরসভার নির্বাচন। রাজ্য সিপিএমের পোস্টার গার্ল মীনাক্ষী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন মীণাক্ষী। সেই লড়াই বেশ কিছু মানুষের মন জয় করেছিল। তাই এবার বাড়ির কেন্দ্রের ভোটের প্রচারেই একে অপরের নামে কী খারাপ কথা বলেন এই দুই বোন, তাই দেখার অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, এই ভোটের ফলাফল বেরোবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।