বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে একের পর দুর্নীতি ইস্যুতে ধুন্ধুমার রাজ্যে। নিয়োগ দুর্নীতি, গরু-কয়লা পাচার থেকে শুরু করে হাজারো কাণ্ড। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে একের পর গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসকদলের (Trinamool Congress) একাধিক বিধায়ক, নেতা। গরু পাচার কাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ওদিকে কয়লা পাচার মামলায় বারংবার তলব পড়ছে তৃণমূল নেতাদের।
সবমিলিয়ে দুর্নীতি ইস্যুতে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে শাসকদল। প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীর আয়ের উৎস নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে আগে-ভাগেই নিজে থেকেই নিজের আয়,ব্যয় ও সম্পত্তির হিসাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
যদিও নিয়ম এটাই। আসলে রাজ্য মন্ত্রিসভার সকল সদস্যেরই মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে প্রতি বছর আয় ও সম্পত্তির হিসাব দিতে হয়। এমনকি সরকারের শীর্ষ পদে থাকা আমলাদেরও ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলতে হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই নিয়ম রয়েছে। তবে অনেক সময়ই অভিযোগ আসে যে সকলে নাকি এই নিয়ম ঠিকঠাক মানেন না। যদিও ববি সমস্ত নিয়ম মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের আয়,ব্যয় ও সম্পত্তির হিসাব দিয়ে দিলেন।
আর সূত্রের খবর এই নিয়েই জোর চৰ্চা শুরু হয়ে গিয়েছে নবান্নের অন্দরে। ভরা ক্যাবিনেটে ববি নিজের সম্পত্তির হিসেব তথ্য, আয়কর রিটার্ন দেওয়ায় অন্যরাও একটু চাপে পড়েছে। আবার এও শোনা যাচ্ছে অনেকেই নাকি মনে করছেন ফিরহাদকে নাকি মমতাই আয়,ব্যয়, সম্পত্তির হিসাব জমা করতে বলেছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুর নিয়োগ দুর্নীতিরও হদিস মিলেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে সিবিআই। কিছুদিন আগেই রাজ্যের একাধিক পুরসভায় হানাও দেয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার সূত্রের খবর চলতি সপ্তাহেই নাকি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় বড় নামেদের তলব করতে চলেছে সিবিআই।