রাম মন্দির জন্য নয়! অন্য এক কারণে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে উপচে পড়েছে ভীড়, বললেন ফিরহাদ হাকিম

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এ বারের পুজোয় সবথেকে বেশি হিট পুজো বলতেই মাথায় আসে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) কথা। কলকাতার অন্যতম সেরা এই পুজোর (Durga Puja 2023) উদ্বোধন করছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৮৮ বছরে পদার্পণ করা এই পুজোর এবারের থিম, অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodha Ram Mandir)।

চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, সুসজ্জিত বিশালকার মণ্ডপ, আর অদ্ভূত সুন্দর প্রতিমার টানে এ বছর রেকর্ড ভাঙা ভীড় হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে। প্ৰতি বছরই দুর্গাপুজোয় বড় চমক বড় চমক নিয়ে হাজির হয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার (Lebutala Sorbojanin Santosh Mitra Square)। গত বছর আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের থিমে তৈরি লালকেল্লা ও আলোকসজ্জা দেখতে রীতিমতো জনতার ঢল নেমেছিল। আর এ বারে তো কোনও কথাই নেই।

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার বা লেবুতলা পার্কের পুজোর প্রদীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) নামেই পরিচিত। এই পুজোর গোটা মণ্ডপটাই তৈরি হয়েছে রাম মন্দিরের আদলে। উদ্বোধনের পর থেকেই নজর কাড়া ভীড় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপে। কলকাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে এই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে।

আরও পড়ুন: মহালয়াতে ছুটিটাই নষ্ট! আগামী বছর কবে শুরু দুর্গাপুজো? এক ক্লিকে দেখে নিন ২০২৪-এর নির্ঘণ্ট

রাজ্যের শাসকদলের বহু হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর পুজোকেও পেছনে ফেলেছে সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। কেন এত পরিমাণ ভীড় এখানে? পেছনে আসল কারণ কী? এ বার সেটাই ব্যাখ্যা করলেন পুর মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

santosh mitra square durga puja

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের উপচে পড়া ভীড় প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপের জন্য না। আসলে ওটা ‘লোকেশনাল অ্যাডভান্টেজ’ পাচ্ছে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আসার পর লোকজন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ঘুরে কলেজ স্কোয়ার হয়ে সেন্ট্রাল কলকাতায় বেরোয়। ওই পুজোর সৃষ্টি হয়েছে প্রদীপ ঘোষের হাত ধরে। রাম মন্দি বলে নয়, ওনার সময় আগে আরও অনেক বেশি ভীড় হত।” তবে সত্যিই লোকেশনের জন্য নাকি থিমের জন্য সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পাগলের মতো ভীড়, এর উত্তর কেবল মাত্র সাধারণ মানুষই দিতে পারবে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর