৫ বিঘার বেশি WAQF জমি জবরদখলের অভিযোগ ফিরহাদের বিরুদ্ধে! রিপোর্টে আসতেই মুখ খুললেন পুরমন্ত্রী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ আইন (WAQF Act) নিয়ে বর্তমানে সরগরম দেশ। বাংলা সহ ভারতের নানান প্রান্তে এই নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিও উঠেছে বহু জায়গায়। সম্প্রতি এই নিয়ে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর! রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি ‘জবরদখল’ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (কেন্দ্রীয় আইবি)। সেখানে নাম রয়েছে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সহ তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্তত চারজন নেতা-নেত্রীর। এই নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন ফিরহাদ।

কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টে নাম আসায় কী বললেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?

জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সংস্থার দেওয়া রিপোর্টে ওয়াকফ সম্পত্তি ‘অবৈধ উপায়ে হস্তান্তর’ ও ‘ব্যক্তিগত স্বার্থে জবরদখল’ করার তালিকা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওয়াকফ বিল নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা শুরুর আগেই এই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে যাদের বিরুদ্ধে, তাঁদের মধ্যে দু’জন হলেন বর্তমান বোর্ডের সদস্য। একজন, নদিয়ার কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ। ফেব্রুয়ারি মাসে নাসিরুদ্দিন প্রয়াত হয়েছেন। অন্যজন, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম-রায়ে বাতিল হয়েছে চাকরি! অবশেষে সাময়িক স্বস্তি পেলেন শিক্ষকরা

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কৃষ্ণনগরে সাহিবুল্লা ওয়াকফ এস্টেটে তিন হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট ‘জবরদখল’ করেছিলেন নাসিরুদ্দিন। অন্যদিকে ১০/৮, তালবাগান রোডে ওয়াকফের ২২ কাঠা জমি ‘কব্জা’ করেছেন নাদিমুল। এই দু’জনের পাশাপাশি রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও কেএমসির ৬৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শাম্মি জাহান বেগমেরও নাম রয়েছে।

Firhad Hakim

‘মহাবীরতলা মসজিদ থেকে আলিপুর অবধি বিস্তৃত জোহুরা বিবি ওয়াকফ এস্টেটের ৩৫ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘার অধিক জমি ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জবরদখল করেছেন বলে খবর। সেখানে (স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে) একটি মার্বেল পাথরের শোরুম চালাচ্ছেন তিনি’। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর শাম্মি জাহান বেগমের বিষয়ে লেখা হয়েছে, তিনি হাজরা রোডে টিপু সুলতান গোরস্থানে জমি ‘জবরদখল’ করেছেন। তবে কতখানি জমি ‘জবরদখল’ করেছেন অথবা সেটি কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই বিষয়ে রিপোর্টে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলে খবর। যদিও এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাম্মি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘জবরদখল করা তো অনেক দূরের কথা! কে কী উদ্দেশে আমার নামে এই সব রিপোর্ট দিলেন, বুঝতে পারছি না’। তবে এই বিষয়ে এখনও অবধি নাদিমুলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনঃ অভয়া তহবিল নিয়ে বিতর্ক! ‘পাই পয়সার হিসেব’ বুঝিয়ে দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। তিনি বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ! এসব অভিযোগের সমর্থনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কোনও তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারবে না’। এখানেই না থেমে কলকাতার মেয়র আরও বলেন, ‘এর আগে সিবিআই, ইডিকে দিয়ে হেনস্থা করানোর চেষ্টা করেছে। তাতে লাভ হয়নি। এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে করানোর চেষ্টা করছে। এদের কাজই হচ্ছে হেনস্থা করা ও অমিত শাহকে সন্তুষ্ট করা’।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X