বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের দরজার কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিন কয়েকের অপেক্ষা মাত্র। তবে ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। রাজ্য জুড়ে সভা, জনসভায় মেতে উঠেছে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির। এই আবহেই মঙ্গলবার অনুব্রত গড় বীরভূমে (Birbhum) যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim )। সেখান থেকেই রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগে মেয়র বলেন, “দরকারে আমাকে মারো, গরীবদের মেরো না।”
প্রসঙ্গত, এদিন অনুব্রত হীন বীরভূমের মাড়গ্রাম হাতিবাঁধ মোড়ে সভা করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকেই কড়া ভাষায় বিরোধীদের নিশানা করেন পুরমন্ত্রী। ২ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামের ২ তৃণমূল কর্মী খুন প্রসঙ্গ উঠে আসে ফিরহাদের কথায়। এই নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিয়ে ববি বলেন, “হঠাৎ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হল কেন? শহিদের পরিবারের পাশে থেকে লড়াই করব। ১২ জনকে ধরা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সবাইকে ধরতে হবে। ভাল উকিল দিতে হবে। খুন করলে যাবজ্জীবন হবে। তৃণমূল কর্মীদের প্রাণ মগের মুলুক নয়।”
মন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যে বিজেপির মারধর কারবার চলছে। মমতার উন্নয়নের সঙ্গে টিকে থাকতে না পেরে অশান্তি করছে।” রাজ্য বিজেপির পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় প্ৰতিমন্ত্রী এদিন অমিত শাহকেও চাচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন ফিরহাদ। মন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ড থেকে লোক নিয়ে এসেছিলেন অমিত শাহ। বলেছেন এখানে অপারেশন করে ঝড়খণ্ডে পালিয়ে যাও। মোটা মানুষটা সিউড়িতে এসে বলছেন, এবার ৩৫ টি আসন পাবেন! বুদ্ধবাবুও বলেছিলেন, তোমরা ৩০ আমরা ২৩৫। কোথায় তারা! তারা এখন ফিনিশ।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বীরভূমের সিউড়িতে বিশাল জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখান থেকে আগামী লোকসভার জন্য টার্গেট বেঁধে দেন বঙ্গ বিজেপিকে। সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে শাহজী বলেন, মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী করতে আপনারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে ৩৫ আসন দিন। শাহের এই কথার প্রেক্ষিতেই এদিন পাল্টা খোঁচা দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। বলেন, “একদিকে টাকা দিয়ে হামলা করছে অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যেন সাঁড়াশি আক্রমণ। তবে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের আটকাতে পারবে না। ভগবানের দেখানো পথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে চলছে। সন্ত্রাস শেষ কথা বলবে না। লড়াই বিরোধীদের বিভাজনের নীতির সঙ্গে। হিজাবের সঙ্গে সিঁদুর পরে বসে থাকবে। টুপির সঙ্গে তিলকধারী বসে থাকবে। কিন্তু তাও বোমা গুলি চলবে না।”