বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose) বলিদান দিবসে তাঁরই জন্মভিটেতে দাঁড়িয়ে উল্টো জাতীয় পতাকা (National Flag) তুলে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা (Seuli Saha) ও জেলাসাশক রেশমী কমল। যদিও, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি জাতীয় পতাকা নামিয়ে দ্বিতীয়বার সঠিক ভাবে উত্তোলন করে তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সবার নজরে চলে এসেছিল। আর এরপর থেকেই চারিদিকে ছিঃ ছিঃ রব পড়ে গিয়েছে।
এদিন ক্ষুদিরাম বসুর ১১৪ তম বলিদান দিবস উপলক্ষে মোহবনী গ্রামে একটি শহীদ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন মোহবনীর জেলাশাসক রেশমী কমল। এছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্ট নেতা-নেত্রীগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উল্টো পতাকা উত্তোলন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন তাঁরা। তবে পতাকা উত্তোলন করার পর দড়ি বাঁধতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে। আর এরপরই ভুল শুধরে নেওয়া হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী শিউলি সাহা জানিয়েছেন, ‘ঠিকমতো পতাকা তোলার আগেই সাংবাদিকরা ছবি, ভিডিও করে নিয়েছে। আমাদের পতাকা তোলার আগেই তাঁরা খবর করে নিয়েছিল।” অন্যদিকে, এই বিষয়ে জেলাশাসক রেশমী কমলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি বলেন, ‘ওঁরা কোনও কিছুই জাতীয় মর্যাদায় পালন করতে শেখেনি। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। শুধু নাটক করে বেড়ানোই কাজ ওদের। গতকাল ঘাটালে একটু জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার সাংসদ দেব বলেছেন, মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী হলেই নাকি ঘাটালের সমস্যার সমাধান হবে। এগুলি সব নাটক।”
তিনি আরও বলেন, যেখানে একগাদা মানুষ রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কর্তা, মন্ত্রী নিজে রয়েছেন সেখানে কীভাবে উল্টো পতাকা তোলা হয়? এই ঘটনা মেদিনীপুরের জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ওদের উচিৎ সবার সামনে ক্ষমা চাওয়া।”