কর্মী নিয়োগের কথা জানানোই হয় নি দফতরের মন্ত্রীকে! রেগে লাল সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তদন্তের নির্দেশ সচিবকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে গ্রন্থাগারের (Library) দশা শোচনীয়। বিগত বেশ ক’বছর ধরেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের একের পর এক সরকারি গ্রন্থাগার। যার প্রধান কারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে কর্মীর অভাব। অনেক গ্রন্থাগারে নেই লাইব্রেরিয়ান। তাই একই ব্যক্তিকে একাধিক লাইব্রেরির দায়িত্ব সামলাতে হয়। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। যার জেরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান বইপত্রও। এই পরিস্থিতিতে গ্রন্থাগারগুলিকে সচল রাখতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের আবারও নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য গ্রন্থাগার দফতর। এই দফতরের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর দাবি, এ নিয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই।

দফতরের মন্ত্রীকে না জানিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, সচিবকে তার খতিয়ে করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
এই বিষয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘এমন নির্দেশিকার কথা আমার জানা নেই। তবে এ রকম একটা নির্দেশিকা বেরিয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমি গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী। অথচ আমিই এটা জানতে পারলাম না! আমাকে অন্ধকারে রেখে কে বা কারা এমন নির্দেশিকা জারি করেছে, সেটা জানার জন্য সচিবকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।’

গ্রন্থাগার দফতরের এক শীর্ষকর্তা জানান যুক্তি, ‘যত দিন যাচ্ছে, মানুষের বই পড়ার অভ্যাস কমছে। ফলে দ্রুত কমছে গ্রন্থাগারের পাঠক-সংখ্যা। সরকার আর গ্রন্থাগারের জন্য টাকা খরচ করতে চাইছে না। সে কারণেই অস্থায়ী ভিত্তিতে বেশ কম পারিশ্রমিকে পুরোনো কর্মীদের নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, গত দু’বছরের মধ্যে যাঁরা চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, তাঁদেরই আবার বিভিন্ন গ্রন্থাগারে নতুন করে নিয়োগ করা হবে। যাঁরা আবার কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের তালিকা তৈরির জন্য জেলা গ্রন্থাগারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরি হলেই দ্রুত নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে গ্রন্থাগারিক-সহ নানা কাজে প্রায় ৫,৫০০টি পদ রয়েছে। তার মধ্যে ৪,২০০ পদই শূন্য, শতকরা হিসাবে যা ৭৬ শতাংশ। গত প্রায় এক দশকের উপর সরকারি গ্রন্থাগারে কেনও নিয়োগ করাই হয়নি। এর মধ্যে বহু কর্মী অবসর নিয়েছেন। বহু জায়গায় লাইব্রেরি খোলার লোক পর্যন্ত নেই। লাইব্রেরিয়ানের কাজ করছেন সাধারণ কর্মীরাই।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর