বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে উত্তপ্ত বাংলা। দিনের পর দিন কেলেঙ্কারি কাণ্ডে তৃণমূল (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের নাম উঠে আসায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল। পাল্টা তারা আবার অভিযোগ তুলছে বাম আমলের দুর্নীতির ওপর। অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সম্প্রতি সিপিএম (CPM) জামানায় হওয়া দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। বামফ্রন্টের সময় কোন নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা কোন নেতার আত্মীয়েরা সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন, তেমন কিছু নাম তিনি সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন বলে দাবি উদয়নের।
তবে এদিন ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ ইস্যুতে লাগাতার করতে থাকা মন্তব্য গুলির মধ্যে অন্তত একটি ক্ষেত্রে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দিনহাটার পাঁচ মাথার মোড়ের সভা থেকে গোটা কোচবিহার জেলা তথা দিনহাটার একাধিক সিপিএম নেতাদের আত্মীয়রা সেই জামানায় সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি তোলেন মন্ত্রী। দুর্নীতি-অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে নাম ছিল সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, প্রয়াত বেণুবাদল চক্রবর্তীর স্ত্রীয়েরও।
তবে উদয়নবাবুর ওই অভিযোগ মানতে নারাজ বেণুবাদল চক্রবর্তীর ছেলে শুভময়। মন্ত্রীর ভুল ধরিয়ে দিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে শুভময় বলেন, ‘‘মায়ের বয়স ৭৬ বছর। ১৯৬৭ সালে আমার মা মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৬৯ সালে নিগমনগরে বেসিক ট্রেনিং নিয়েছেন। ১৯৭২ সালে দিনহাটারই একটি প্রাথমিক স্কুলে কয়েক মাস ডেপুটেশনে চাকরি করেন। তার পরে খুটামারায় প্রাথমিক স্কুলে ওই বছরই চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার আট বছর পরে আমার মায়ের বিয়ে হয়। মন্ত্রী উদয়ন গুহ ব্যস্ত মানুষ, তাই হয় তো সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।’’
শুভময়ের এই মন্তব্যের পরই নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন উদয়ন গুহ। সোমবার সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘বেণুদার স্ত্রীয়ের চাকরি ঠিক ভাবেই হয়েছে। ওঁর স্ত্রীয়ের চাকরির কথাটা প্রত্যাহার করলাম। বাকি সব অভিযোগ ঠিক।’’ এরপর পরদিন উদয়ন ফের বলেন, ‘‘ওই বিষয়টি ঠিক ছিল না। উনি আগেই চাকরি পেয়েছিলেন।’’
এই নিয়েই জোর চৰ্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মন্ত্রী উদয়ন গুহকে তুলোধনা করতে ছাড়েনি বাম শিবির। এই বিষয়ে সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, ‘‘প্রলাপ বকছেন তৃণমূল মন্ত্রী। এর পরে, ধীরে ধীরে সব ভুল স্বীকার করতে হবে।’’