বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে অনলাইন বেটিংয়ের (Online Betting) ধারা। টিভিতে, অনলাইনে খেলা দেখার জন্য মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ত্রিনে চোখ রাখলেই খেলা যাচ্ছে এমন বেশ কিছু সাইটের বিজ্ঞাপন। বেশ কয়েকটির ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত থাকছেন বড় মাপের ক্রিকেট বা চলচ্চিত্রের কুশীলবরা, যা বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াচ্ছে ওই সাইটগুলোর। মানুষের সহজে পয়সা রোজগার করার এই সম্ভাবনার পেছনে ছুটছেন মরিয়া হয়ে। কেউ কেউ লাভবান হচ্ছেন, আবার কেউ বোধবুদ্ধিহীনতার কারণে হয়ে যাচ্ছেন নিঃস্ব।
এবার এই অনলাইন বেটিংয়ে কিছুটা লাগাম লাগানোর উদ্দেশ্যে এক নতুন উদ্যোগ নিলো কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Information and Broadcasting Ministry)। তাদের তরফ থেকে দেওয়া বার্তায় সমস্ত সংবাদ মাধ্যম এবং অনলাইন বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে এই জাতীয় ব্যাটিং ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তাদের আর এমন প্রচার চালানোর জন্য নিষেধ করেছে এই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। যদিও শহর কলকাতার রাস্তাঘাট ভর্তি হয়ে আছে এমন বেটিংয়ের প্রচারের হোডিং ও পোস্টারে। আর এই নির্দেশনার পর যে সেগুলি সরিয়ে নেওয়া হবে এমন কোনও সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার মূল ধারার সংবাদমাধ্যম গুলিতে যেভাবে বেটিং সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপন ও প্রচার করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে নিজেদের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কোনও স্পোর্টস লিগ দেখার জন্য যে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে সেটিকেও অনৈতিক বলে দাবি করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, ‘প্রেস কাউন্সিলের জার্নালিস্ট কনডাক্টের নিয়মানুসারে সংবাদমাধ্যমের দ্বারা এমন কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়া উচিত নয় যা বেআইনি বা নিয়মবিরুদ্ধ। তাদের সমস্ত বিজ্ঞাপনের তথ্যগুলি আইনি ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করে দেখা উচিত। শুধুমাত্র রাজস্ব আদায় করাই কখনোই একটি সংবাদমাধ্যমের মূল লক্ষ্য হতে পারে না। সমাজের প্রতি তাদের আরো অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে।’
তুই এখন প্রশ্ন হল যে এই কড়াকড়ির পরেও কি বেটিংয়ের এই ধারায় লাগাম পড়ানো সম্ভব। ইতিমধ্যে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই স্পোর্টস বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। এতে কিছু জনের যেমন লাভ হচ্ছে, তেমনই অনেকের ক্ষতিও হচ্ছে। এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার আপাতত কোন উপায় সকলের সামনে খোলা নেই। অন্যদিকে, কলকাতাতে 1xBet, Parimatch, Fairplay, Lotus365, Wolf777 এর মতো বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপনে ভরে গিয়েছে। এখন দেখার বিষয় হল যে, সরকার এর বিরুদ্ধেও কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয় নাকি?