বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৩ বছরের নাবালিকা রাখী সিং স্বপ্ন দেখত IAS অফিসার হওয়ার। তবে মহাকুম্ভে (Kumbh Mela) গিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি আমূল বদলে গেল তার। কিশোরীর বাবা-মাও তৎক্ষণাৎ নিলেন বড় সিদ্ধান্ত। সন্তানের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে প্রয়াগরাজে সাধুর হাতে সমর্পণ করলেন মেয়েকে। কিশোরী রাখী বাবা-মায়ের সাথে এসেছিল প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে (Kumbh Mela)।
মহাকুম্ভে (Kumbh Mela) গিয়ে নাবালিকার মন বদল
সেখানে গিয়ে যে এতটা পরিবর্তন আসতে চলেছে সেটা বোধ হয় সে নিজেও টের পায়নি। জাগতিক মোহমায়া ত্যাগ করে সন্নাসিনী (Nun) হওয়ার ইচ্ছে জাগে তার মনে। বাবা-মাকে সেই ইচ্ছের কথা জানাতে তাঁরাও দুবার ভাবেননি। ভগবানের কৃপা মনে করে নিজেদের মেয়েকে তুলে দিলেন এক যোগীর হাতে। কিশোরীর মা রিমা সিং জানান, তাঁদের কন্যার আত্ম উপলব্ধি হয়েছে মহাকুম্ভের মেলায় (Kumbh Mela) গিয়ে।
সে সিদ্ধান্ত নেয় জাগতিক সবধরনের বিষয় থেকে নিজেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার। কিশোরীর মা বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে জুনা আখড়ার মহন্ত কৌশলগিরি মহারাজ আমাদের গ্রামে ভাগবত কথা শোনাতে আসতেন। এমনই একটি সেশনে মহন্তজির কাছে আমার মেয়ে রাখী দীক্ষা নেয়। এর পর কৌশলগিরি মহারাজ আমার মেয়েকে মহাকুম্ভের ময়ে জুনা আখতার যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।’
আরোও পড়ুন : ২২ গজে দাপট দেখালেন KKR তারকা! তুলে নিলেন ১৮ টি উইকেট, IPL-এর আগে বেজায় খুশি অনুরাগীরা
পাশাপাশি তিনি আরো জানান, ‘আমার স্বামী সন্দীপ এবং দুই মেয়ের সঙ্গে এখানে এসেছি। এখানে এসেই রাখীর মধ্যে আমূল পরিবর্তন আসে। একদিন ও আমাদের জানাল, ইহজগতের সমস্ত চাহিদা ছেড়ে সে সন্নাসিনী হতে চায়। এটাই হয়তো ভগবানের ইচ্ছে ছিল। তাই আর আমরা কোনও আপত্তি জানাইনি।’ রিমা দেবী আরো বলেন, ‘রাখী ( তাদের কন্যা) ছোটবেলা থেকেই IAS অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখত। মহাকুম্ভে এসে সে স্বপ্ন ছেড়ে সন্নাসিনী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সংবাদমাধ্যমে মহন্ত কৌশলগিরি মহারাজ জানান, ‘ওর উপর আমরা কোনও চাপ দিইনি। নিজে থেকেই জাগতিক বিষয়গুলি থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সিং পরিবারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। ওদের আর্জি মেনেই রাখিকে আশ্রমে রাখতে রাজি হয়েছি। এ বার থেকে ও গৌরী গিরি নামে পরিচিত হবে।’
আরোও পড়ুন : ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র টোল ফ্রি নম্বরে ফোন! হাসি ফুটল গ্রামবাসীদের মুখে
কন্যাকে দূরে রেখে আদৌ ভালো থাকবেন রিমা দেবী? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মা হিসেবে তো মেয়ের জন্য সর্বদাই উদ্বেগ থাকবে। কোথায় রয়েছে, কী করছে, খোঁজ খবর নিতে মন চাইবে। আত্মীয়রাও প্রশ্ন করছেন, কেন মেয়েকে আশ্রমে দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। সকলকেই জানিয়েছি এটা ভগবানের ইচ্ছে।’