বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ৪ জন মিলে গণধর্ষণ করে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে বিষ খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
প্রাপ্ত হবর অনুযায়ী, গতকাল সন্ধে বেলায় নির্যাতিতাকে একা বাড়িতে রেখে পরিবারের বাকি সদস্যরা স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড করাতে গিয়েছিল। কিশোরী বাড়িতে একা আছে জানতে পেরে বাড়িতে হানা দেয় চার দুষ্কৃতী। সেখানে তাঁর উপর নির্মম অত্যাচার করে তাঁরা। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য কিশোরীকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেয় ধর্ষকরা।
ধর্ষকদের হাত থেকে পালিয়ে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচায় ওই কিশোরী। তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার বিবরণ দেয় তাঁর দাদার কাছে। এরপর দেরি না করে নির্যাতিতাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
কিশোরীর বাবা জানান, গতকাল বড় মেয়ে আর স্ত্রীকে সঙ্গে করে নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করতে গিয়েছিলাম হপিতয়াগঞ্জ পঞ্চায়েতে। ছোট মেয়ে বাড়িতেই ছিল, আর সেই সুযোগে মহম্মদ ফিরোজ, সরফরাজ, রমজান আলন আর জিয়ারুল ইসলাম আমার বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁরা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় বিষ খাইয়ে দেয়। নির্যাতিতার বাবা জানান, এরপর সে বমি করতে করতে দাদার বাড়িতে গিয়ে সমস্ত কথা খুলে বলে। সে এও বলে যে, ওঁরা এই কথা অন্য কাউকে জানালে আমাকে মেরে ফেলবে বলেছে।
ইসলামপুরের পুলিশ সুপার সচিন মক্কার এই বিষয়ে জানান, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের পর তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর সবকিছু জানা যাবে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।