ফের ধর্ষণ বাংলায়, মুখে গামছা বেঁধে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! পরিবারকে থানায় যেতে বাধা

সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলায় একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। হাঁসখালি থেকে নামখানা কিংবা মাটিয়া থেকে বোলপুরের মত এলাকায় পরপর নারী নির্যাতন থেকে যৌন হেনস্থা কাণ্ডে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নাবালিকাদের যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাতে বর্তমানে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি ক্রমশই তলানীতে গিয়ে ঠেকছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আর এবার পুনরায় হাঁসখালি কাণ্ডেরই ছায়া যেন ধরা পড়লো মালদার বুকে।

গত 19 শে এপ্রিল মালদার একটি বাড়ি থেকে জোর করে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু মাত্র তাই নয়, পরবর্তীতে নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশে যেতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সূত্রের খবর, গত 19 তারিখ মালদার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় চার যুবক। ঘটনার সময়ে তারা গামছা বেঁধে বাড়িতে প্রবেশ করে।

জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা, মা ও কাকিমা সহ পরিবারের সকলেই রাতের বেলায় মসজিদে নামাজ পড়তে যান আর সেই সুযোগেই তখন মেয়েটিকে একা পেয়ে অভিযুক্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘটনার সময় তারা মাদকাসক্ত ছিল বলে অভিযোগ। বাড়িতে প্রবেশ করার পর তারা সেই কিশোরীটিকে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। স্বভাবতই বাড়িতে ফিরে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে অস্থির হয়ে ওঠে পরিবার এবং অনেক খোঁজাখুজি করার পরে শেষ পর্যন্ত তাকে বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে মাদকাসক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর কোনোমতে ঘরে নিয়ে আসা হলে তৎক্ষণাৎ সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সমস্ত ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

এদিন নাবালিকার কাকিমাকে ধরা হলে তিনি জানান, “আমরা নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাই। সেই সময় ও একাই বাড়িতে ছিল। কিন্তু ফিরে এসে দেখতে না পেয়ে আমরা ওর খোঁজাখুঁজি শুরু করি এবং শেষ পর্যন্ত বাড়ির পাশে আম বাগানের কাছে উদ্ধার করা হয়। সেই সময় ওর মুখ দিয়ে মাদকের গন্ধ বেরোচ্ছিল। এরপর অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্ঞান ফেরার পর ও জানায় যে, আমরা চলে যাওয়ার পর চার ব্যক্তি মুখে গামছা পড়ে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ওকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আমাদের মেয়ের সাথে নির্যাতন চালানো হয়।”

পরিবার সূত্রের খবর, পুরো ঘটনাটি জানার পর তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আচমকা এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসে তাদেরকে উল্টে থানায় অভিযোগ না করার হুঁশিয়ারি দিতে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে নিজেদের অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার এবং এক্ষেত্রে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে দুজন যুবককে গ্রেফতার করে। বাকি দুজন আপাতত পলাতক হলেও তাদের খুব তাড়াতাড়ি জেল হেফাজতে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

 

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর