পুতুলের কাপড় দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে ধর্ষণ দর্জির! বাঁকুড়ার ঘটনায় স্তব্ধ এলাকাবাসী, উঠল ফাঁসির দাবি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর সাতেক বয়স। দুপুরবেলা বাড়ি বসে পুতুল খেলছিল। সেই সময় পুতুল সাজানোর জন্য কিছু কাপড়ের দরকার হওয়ায় এলাকার এক দর্জির দোকানে যায় নাবালিকা। সেখানেই তাঁকে ওই দর্জির ‘লালসা’র শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ (Rape)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দর্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছে নাবালিকার পরিবার (Rape)

জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনা থানা অঞ্চলে রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ছাতনা অঞ্চলে নির্যাতিতার বাড়ি। ওই এলাকাতেই দোকান দর্জি শেখ আহিয়ার। গতকাল দুপুরে তার দোকানে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। অভিযোগ, কাপড় দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে নিজের দোকানের ভেতর নিয়ে যান অভিযুক্ত দর্জি। এরপর দোকানের শাটার নামিয়ে সেখানেই শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।

জানা যাচ্ছে, গতকাল দুপুরে নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ির সবাই ঘুমোচ্ছিলেন। তখন পুতুল সাজানোর জন্য কাপড়ের দরকার হওয়ায় সে কাউকে কিছু না বলেই এলাকার দর্জির দোকানে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে যে এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তা সে কল্পনাও করেনি!

আরও পড়ুনঃ ‘মমতাকে জড়িয়ে বিকৃত ইঙ্গিতপূর্ণ কুৎসিত প্রচার’! ফুঁসে উঠলেন কুণাল, এল আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

অভিযোগ, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর কাউকে কিছু না বলার ভয় দেখায় ওই দর্জি। সেখান থেকে কোনও ক্রমে বাড়ি ফিরে আসে ছোট্ট মেয়েটি। কিন্তু তার মুখচোখ দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপর বাড়ির লোকেদের কাছে সম্পূর্ণ ঘটনাটি খুলে বলে সে।

গতকাল রাতেই ছাতনা থানায় (Chhatna Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। এরপর তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেখ আহিয়া নামের ওই দর্জির বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Rape case

নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই এলাকাবাসী অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সুর চড়িয়েছেন। সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে শেখ আহিয়াকে তোলা হয়েছিল। আগামী ৬ জুন অবধি পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

উল্লেখ্য, গত বছর আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা বাংলা। সেই ঘটনার রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্যেই বাঁকুড়ায় ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape)। অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X