বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও এক গণধর্ষণের ঘটনায় বিপর্যস্ত হায়দরাবাদ। গাড়ির ভিতরে এক নাবালিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই কুকীর্তি ঘটিয়েছে এক বিধায়কের ছেলে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার, ২৮ মে সন্ধ্যায় হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ১ জুন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৩৫৪ ধারায় একটি শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের মামলা রুজু করে। পরে রুজু হয় ৩৭৬-র গণধর্ষণের মামলা। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে নির্যাতিতার বয়স ১৭ বছর। সে একটি পার্টিতে গিয়েছিল। ওই পার্টিতে বিধায়কের ওই গুণধর পুত্র এবং সংখ্যালঘু বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।
বিধায়কের পুত্র গিয়েছিল নিজের মার্সিডিজ গাড়িতে। অভিযোগ নাবালিকাকে সে কথা বলার অছিলায় বাইরে নিয়ে গিয়ে মার্সিডিজে ঢুকিয়ে সে এবং তার কয়েকজন বন্ধু ধর্ষণ করে। নাবালিকাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। নাবালিকা বিধায়ক-পুত্রের নামও জানিয়েছে। সূত্রের খবর, মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিধায়কপুত্রকে জেরা করা হবে। তদন্তে নেমে পাবের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাবের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, ওই পার্টি নন-অ্যালকোহলিক ছিল। মদ সেখানে পরিবেশন করা হয়নি। পাব ও আশপাশ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে পুলিশের এক তদন্তকারী অফিসার বলেছেন, সন্ধ্যায় ঘটেছে এই ঘটনা। তাই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুব বিস্তারিত কিছু পাওয়া যায়নি। গণধর্ষণের ঘটনায় কোনও নাবালক যুক্ত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল রাজস্থানে, গত এপ্রিল মাসে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িয়ে যায় কংগ্রেস বিধায়ক জোহারি লাল মিনার পুত্রের নাম। ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা মরুশহর। জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে বিধায়ক-পুত্রের ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপের দাবি করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটল হায়দরাবাদে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এখনও বিধায়কের নাম প্রকাশ করা হয়নি।