বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে চলেছিল পিতা এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শেষ পর্যন্ত মেয়েকে খুন করে সে! ঠিক এহেন নৃশংস ঘটনার খবর বর্তমানে উঠে এসেছে উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে। অভিযোগ, প্রথমে বড় মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে চলে তার নিজেরই পিতা। এরপর তার বিয়ে হয়ে গেলে পরবর্তীকালে ছোট মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতন এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে খুন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। এমনকি, পরবর্তীতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নাবালিকার দেহটি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা দেখানোর চেষ্টাও করে সে। বর্তমানে অবশ্য অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকায় এক নাবালিকা দিনের পর দিন তার বাবার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে চলেছিল। তবে ভয়ের কারণে প্রতিবাদ করতে পারেনি। যদিও শেষ পর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের পিতাকে বাধা দিতে যায় সে এবং তার ফলস্বরূপ নৃশংসভাবে তাকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে খুন করে অভিযুক্ত। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি প্রথমে তার বড় মেয়েকেও একইভাবে লাগাতার ধর্ষণ করে চলত; এরপর সেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলে প্রাণে বাঁচে সে।
পরিবারের অভিযোগ, এরপরে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তারপর থেকেই তার ব্যবহার হয়ে ওঠে আরও নিকৃষ্ট! দিনের পর-ল দিন ছোট মেয়েকে যৌন নির্যাতন করতে থাকে সে এবং পরিবারের কেউ কিছু বললে উল্টে তাদের মারধর করতো বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক প্রকার বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করতে যায় নাবালিকাটি এবং এর পরেই পিতার ক্ষোভের মুখে পড়ে সে। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং পরবর্তীকালে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়। যদিও এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি মৃতদেহটিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা দেখাতে চেয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তার সকল চেষ্টা হয় ব্যর্থ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে তারা। এক্ষেত্রে নাবালিকাটির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে বলে দাবি পুলিশের।