বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশ জুড়ে বেড়েই চলেছে ধর্ষণের (Rape) ঘটনা। রাজধানীর (Delhi) বুকে এক কিশোরীকে (Girl) লাগাতার ধর্ষণের ঘটনা যেন ফের আরেকবার উসকে দিচ্ছে নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি। একজন ১৪ বছরের কিশোরীকে বারংবার ধর্ষণের ফলে সে এখন গর্ভবতী (Pregnant) হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ওয়াজিরাবাদ (Wazirabad) এলাকায় চার বছরের একটি শিশুর ধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, একজন ৪৮ বছর বয়সী ব্যক্তি উত্তর-পূর্ব দিল্লীর একটি ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বেশ কয়েকদিন ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন, যার ফলে ওই নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লী পুলিশ। অভিযুক্তের নাম মোঃ মোকাররম আলী। পুলিশ জানায় যে ধর্ষিতি নিজেই ফোন করে তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেছিলেন। যদিও অভিযুক্তর পক্ষ থেকে পুলিশ বা অন্য কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে তাদেরকে মিথ্যা বলতে বলা হয়েছিল।
দিল্লী পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হঠাৎ করেই হাসপাতাল থেকে তাদেরকাছে ফোন আসে। এরপর যখন মহিলা অফিসার হাসপাতালে পৌঁছন তখন তিনি একটি ১৪ বছরের এক মেয়ের সন্তানের জন্ম দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। আরও জানা যায়, সালমান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু তাদের বন্ধুত্বের সময় সালমান তার আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে এবং তাকে ৫-৬ বার ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা আরও জানান, সে এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি তাকে ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকি দিতেন।
ধর্ষিতার কথার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্তের নাম মোকাররম। ধর্ষিতা প্রায়ই তার দোকানে কোল্ড ড্রিঙ্কস নিতে যেতেন। একদিন মেয়েটি তার দোকানে গেলে মোকাররম মেয়েটির বিরুদ্ধে ফোন চুরির অভিযোগ তোলেন। শুধু তাই নয়, তাকে কাছাকাছি নন্দ নগরীতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি মেয়েটিকে মাদক মেশানো চা পান করান। এর পর মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোকাররম তার আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে এবং তাকে ধর্ষণ করে।
পাশাপাশি ওয়াজিরাবাদ এলাকায় একটি চার বছরের এক মেয়ের ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ এসেছে বাড়িওয়ালার ভাগ্নের নামে। পুলিশ মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছে। তদন্ত শেষে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি বুরারি এলাকায়, যেখানে চার বছরের একটি মেয়ে তার পরিবারের সাথে থাকে। মেয়েটির মা তার জবানবন্দিতে জানান, তিনি তার স্বামী ও মেয়ে শিশুকে নিয়ে একটি ভাড়া ঘরে থাকেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাড়িওয়ালার ভাগ্নে ও আরেক আত্মীয় গত পাঁচ বছর ধরে পাশের ঘরে থাকেন। মেয়েটির মা আরও অভিযোগ আনেন যে রাত ৯টার দিকে তার নাবালিকা মেয়ে পাশের ঘরে খেলতে গিয়েছিল। কিন্তু সে কিছুক্ষণের মধ্যে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরে আসে। তিনি আরও জানান, বাড়িওয়ালার ভাগ্নে অন্যায় করেছে এবং এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে খবর দেন। এরপর নির্যাতিতা মেয়েটির কাউন্সেলিং ও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। ওয়াজিরাবাদ পুলিশ ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।