বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও কেরলে (Kerala) বৃদ্ধি পাচ্ছে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বাদের সংখ্যা। এ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছে কেরলের উচ্চআদালত (Kerala High court)। এই সমস্যার সমধানে স্কুলে জীবনশৈলী শিক্ষা উপর জোর দিতে বলল কেরল হাইকোর্ট। আদালত মনে করছে, এই সমাজিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী মূলত পর্নোগ্রাফি ছবি।।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি একটি ১৩ বছরের নাবালিকা গর্ভপাতের আবেদন করে। সেই বিষয়ে মামলা দায়ের হয় কেরল হাইকোর্টে। বিচারপতি ভিজি অরুণের এজলাসে এই মামলাটির শুনানি হয়। বিচারপতি অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেন। এর পরই কেরলে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার সংখ্যা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলার শুনানির আগে নাবালিকাদের গর্ভধারণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি। এই মামলাগুলির বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাই নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। আমার মতে, আমাদের বিদ্যালয়ে যে জীবনশৈলী শিক্ষার পাঠ দেওয়া হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের তা নতুন করে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।’
এর পরই বিচারপতি বলেন নীল ছবিই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইন্টারনেটের যুগে অশ্লীল ছবি খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে শিশুমনে। শিশুদের ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহারের শিক্ষা দেওয়াটা খুবিই দরকার বলেই মনে করেন বিচারপতি।
স্কুলে জীবনশৈলি পড়ানোর ওপরও জোর দিয়েছে আদালত। স্কুল যদি ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে পারে তাহলে এই ধরণের ঘটনা কমবে বলেও মনে করেন সকলেই। বিশেষত, ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় কোন কোন সতর্কতা অবলম্বন জরুরি তাও জানানো প্রয়োজন।