[wpcode id="578497"]

বিজেপি ছাড়তে চাইছে দাপুটে সংখ্যালঘু নেতারা! বাংলায় হারের পর নয়া বিপর্যয় গেরুয়া শিবিরে

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলায় (west bengal) ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি (bjp) শিবির। কিন্তু ২ রা মের ফলাফলে পদ্ম শিবিরের সেই আশা কার্যত ধূলিস্মাৎ হয়ে যায়। তারপর থেকেই গোটা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক হিংসাত্মক আগুন। তবে এরই মধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা বহু সংখ্যালঘু নেতৃত্বরা এখন ফিরতে চাইছে পুরনো আশ্রয়ে।

গত ১৯ শে ডিসেম্বর অমিত শাহের সভায় নন্দীগ্রামের বিজেপি সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই হুগলির পুরশুড়া আসনের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শেখ পারভেজ রহমান গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর এলাকার আসনে এবারে নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করলেও, পুরনো ঘরে ফেরার সুর তুলেছেন পারভেজ রহমান। তাঁর কথায়, ‘অভিমান করেই দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলাম। আমাদের মতও নেতারা চলে যাওয়াতেই আরামবাগ লোকসভা এলাকায় ৪টি আসনে পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে দল আমাকে আবারও ফিরিয়ে নেবে আশা করছি’।

পাশাপাশি ২০২১ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে আগত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা কাশেম আলি আবারও দিদির ছত্রছায়ায় ফিরতে চাইছেন। তিনি জানান, ‘বিজেপিতে যোগ দিয়ে বড় ভুল করছি। শুধু আমি একাই নই, আমার মত অনেকেই এখন তৃণমূলে ফিরতে চাইছে। ভোটের প্রচারে সংখ্যালঘুদের যেভাবে আক্রমণ করেছে বিজেপি, তাতে আমরা বুঝেছি এদলে আমরা থাকতে পারব না। শরীরটা একটু সুস্থ হলেই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইব’।

এখানেই শেষ নয়, কাশেম আলি, শেখ পারভেজ রহমানের সুরে একই সুর তুললেন আলমগির মোল্লা, কবিরুল ইসলামও। নির্বাচনে হারের পর আর বিজেপিতে থাকতে নারাজ এইসকল নেতৃত্বরা। তাঁরা আবারও ফিরতে চাইছেন সবুজ শিবিরে। তবে এবিষয়ে এখনই বিজেপির পক্ষ থেকে বিশেষ কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে কবিরুলের কথায়, ‘ববিদার হাত ছেড়ে দেওয়াটা আমাদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এই বিজেপি দলটার দুটো রূপ রয়েছে- দলে যোগ দেওয়ার আগে একরকম আর পরে অন্যরকম। এরা কোনদিন বাংলায় প্রভাব ফেলতে পারবে না’।

X