‘আমি শুধুই একজন মুসলমান, আর কোনো পরিচয় নেই মীরের’, সমালোচনার শিকার হয়ে ক্ষোভ সঞ্চালকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। এ কথাটা যতবারই মীর বোঝাতে যান ততবারই নীতিশিক্ষার কবলে পড়তে হয় তাঁকে। নিজের ধর্ম হোক বা পরের ধর্ম, প্রতিটি উৎসবেই নিজস্ব ভঙ্গিমায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মীর আফসার আলি (mir afsar ali)। কিন্তু বার্তা সাধারন হোক বা অসাধারন, ট্রোল মীরের নিত‍্যসঙ্গী।

এবার দূর্গাপুজো নিয়ে নিজের ছোটবেলার কিছু গল্প শেয়ার করতে গিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন কৌতুক অভিনেতা। কলকাতার বাঙালি মীর। ধর্ম যাই হোক, ছোটবেলা থেকেই আর পাঁচটা শিশুর মতো তিনিও মেতে উঠতেন দূর্গাপুজোর আনন্দে। আর পুজো মানেই নতুন জামা।

mir 1
সোশ‍্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তায় মীরকে বলতে শোনা যায়, ছোটবেলায় অত‍্যন্ত খারাপ অবস্থা ছিল তাঁদের। কিন্তু কোনোবার এমন হয়নি যে বাবা মা নতুন জামা কিনে দেননি তাঁকে। কিন্তু নতুন জামা আসত শুধু তাঁর জন‍্যই। বাবা মা কিনতেন না কিছুই। সেই ছোট্টবেলাতেই মীরের মনে প্রশ্ন জেগেছিল এমনটা কেন হবে?

তখন বাবা মা তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, যেহেতু মীর বড় হচ্ছে, দৈর্য্যে প্রস্থেও বাড়ছেন তাই তাঁর নতুন জামা দরকার। কিন্তু বাবা মা তো বড়ই। তাই তাঁদের নতুন জামা লাগে না। তখনকার মতো মেনে নিলেও বড় হয়ে মীর বুঝেছিলেন মা বাবার পরিস্থিতিটা।

এই কথাগুলো নতুন করে বলার কারণ মীর চেয়েছিলেন শ্রোতারাও আরেক বার তাদের ছোটবেলায় ফিরে গিয়ে ঝালিয়ে নিক স্মৃতিগুলো। কিন্তু এখানেও কিছু মানুষ দল বেঁধে চলে এলেন মীরকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন‍্য। মুসলমান হয়ে হিন্দুদের দূর্গাপুজো নিয়ে কথা বলবেন কেন তিনি, কীসের এত মাতামাতি? এমন সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে।

বারংবার এমন আক্রমণে হতাশ মীর। আফশোস করে তিনি লিখেছেন, ‘এত যুগ বাদেও মানুষকে বোঝানো গেল না যে ধর্ম যার যার নিজের ব্যাপার কিন্তু *উৎসব* সবার। যাই হোক… বড় একটা শিক্ষা হল আমার। অশেষ ধন্যবাদ তাঁদের যাঁরা বার বার মনে করিয়ে দেন আমি শুধুই একজন মুসলমান, আর অন্য কোনো পরিচয় নেই মীরের। আপনারা ভালো থাকবেন। বড্ড হতাশ হলাম। আবার।’

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর