বাংলাহান্ট ডেস্ক: মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali) মানে কী? কেউ বলবেন মীরাক্কেল, আবার কেউ বলবেন বড়পর্দায় অভিনয়। কিন্তু মীরের আরো একটি পরিচয় রয়েছে, বা বলা ভাল ছিল। তিনি একজন আর জে। দীর্ঘদিন ধরে রেডিও জকির কাজ করে এসেছেন মীর।
তাঁর কণ্ঠ শুনে ঘুম ভাঙত শহরবাসীর। তিনি যে ‘সকালম্যান’। বহু বছর ধরে রেডিও মির্চিকে সমৃদ্ধ করে এসেছেন তিনি। এবার অবসর নেওয়ার পালা। রথের দিনের মেঘলা সকালে এই মন খারাপ করা খবর জানিয়েছেন মীর।
সক্কাল সক্কাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বড়সড় বার্তা দিলেন মীর। দীর্ঘ ২৭ বছরের রেডিওর কেরিয়ার থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষনা করেছেন তিনি। ১৯৯৪ সালের ৬ অগাস্ট মাসে রেডিওতে পথচলা শুরু হয় মীরের।
সেই প্রথম দিককার একটি ছবি শেয়ার করেছেন মীর। সঙ্গে লিখেছেন, ‘এই ছবিটা আকাশবাণীতে প্রথম দিনের। ৬ই আগস্ট ’৯৪… আমায় শোনার জন্য সবাইকে। তবে মির্চি ছেড়েছি। রেডিও নয়। কষ্ট হচ্ছে… একটু…. ওই ৯৮.৩% মতন।’
আকাশবাণী দিয়ে রেডিও কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মীরের। রেডিও মির্চিতে ছিলেন বহু বছর। তবে এবার স্টেশন বদল করবেন না নাকি নিজেই কোনো নতুন স্টেশন শুরু করবেন তা এখনো স্পষ্ট করেননি মীর। আপাতত বড়পর্দা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
বুদ্ধিমত্তা এবং সার্কাজমের জন্য বিশেষ জনপ্রীয়তা রয়েছে মীর আফসার আলির। এ বিষয়ে তাঁকে টেক্কা দেওয়া শুধু কঠিনই নয়, না মুমকিন হ্যায়! তাঁর প্রায় প্রতিটি পোস্টেই কেউ না কেউ ট্রোল করেন। আর কোনো ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করলে তো আর কথাই নেই।
মৌলবাদীরা রে রে করে ছুটে আসেন। কিন্তু মীরের ক্লান্তি নেই। তিনি হাসতে ভালবাসেন, হাসাতেও ভালবাসেন। আর এই কাজটা খুব ভালভাবেই জানেন ‘মীরাক্কেল’ এর সঞ্চালক।
মীরের প্রতিটি পোস্টের কমেন্ট বক্সেই উপচে পড়ে মন্তব্য। বিচিত্র সব কমেন্টের কোনো একটি নজর কাড়লে উত্তরও দেন মীর। তবে অবশ্যই নিজস্ব স্টাইলে। আর তাঁর উত্তর দেওয়ার ধরণ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে।