বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মীরাবাঈ চানু (Mirabai Chanu) টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympic) রুপোর পদক জয় করে গোটা ভারতের মাথা উঁচু করেছেন। মণিপুরের বাসিন্দা চানু ৪৯ কেজির শ্রেণীতে মোট ২০২ কেজি ভারোত্তোলন (Weightlifting) করে রুপোর পদক হাসিল করেছেন। পাশাপাশি এবারের অলিম্পিকে পদক জয় করা প্রথম খেলোয়াড়ের খেতাব অর্জন করেছেন তিনি। যদিও, ১২ বছর বয়স থেকে ওয়েটলিফটিংয়ের প্রশিক্ষণ শুরু করা চানু ছোট থেকে তিরন্দাজ হতে চেয়েছিলেন।
১২ বছর বয়সে তিরন্দাজির প্রশিক্ষণের জন্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের অ্যাকাডেমিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি তিরন্দাজ প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো শিক্ষকই পাননি। এরপর দিগগজ ওয়েটলিফটার কুঞ্জারানি দেবীর ভিডিও দেখে তিনি ভারোত্তোলন খেলায় আগ্রহী হন।
এরপর তিনি প্রশিক্ষণ করতে রোজ সাইকেলে করে ২০ কিমি রাস্তা অতিক্রম করতেন। ওনার বাবা সরকারি চাকরিজীবী হলেও বেতন অনেক কম ছিল আর ৬ সন্তানের ভরণপোষণও অনেক বড় বাধা ছিল। ২০১৪ সালে গ্লাসগোয় হওয়া কমনওয়েলথ গেমসে চানু রৌপ্যপদক পেয়েছিলেন। এছাড়াও ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড মেডেল নিজের নামে করেছিলেন। এছাড়াও ২০১৮-র কমনওয়েলথে সোনা জিতেছিলেন চানু।
Living upto Expectations & making everyone Proud !
Congratulations to Ms. Saikhom Mirabai Chanu for her splendid performance in #TokyoOlympics2020 and winning Silver for India.
Rlys' weightlifter Ms.Mirabai Chanu wins Silver.
Entire Railway family is proud of Ms.Mirabai Chanu. pic.twitter.com/iwatPVj0mb
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) July 24, 2021
টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতকে প্রথম পদক দেওয়া মীরাবাঈ চানু হনুমান চালিশা কণ্ঠস্থ করে রেখেছেন। রিও অলিম্পিক্সে বিফলতার পর তিনি হনুমান আর ভগবান শিবের ভক্তি শুরু করেন, আর আজও নিজের রুমে তাঁদের ছবি রেখেছেন। এমনকি টোকিওতেও নিজের রুমে তিনি ভগবানের ছবি রেখেছেন। চানু জানান, হনুমান চালিশা ওনাকে মানসিক দিক থেকে মজবুত করে।