বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোভিড কালে টোকিও অলিম্পিক সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল বড় সন্দেহ। খেলোয়াড়দের অনুশীলনেও যথেষ্ট বাধা দিয়েছিল এই করোনা। তবে এবার সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে দ্বিতীয় দিনেই সারা ভারতবর্ষকে গর্বিত করলেন ইম্ফলের ভারত্তোলক ২৬ বছর বয়সী মীরাবাঈ চানু (Mirabai Chanu)। দ্বিতীয় দিনেই ভারতকে রৌপ্যপদক এনে দিয়েছেন তিনি। ৪৯ কিলোগ্রাম ক্যাটাগরিতে অবশ্য ফেভারিট হিসেবেই শুরু করেছিলেন মীরাবাঈ।
তার নামে রয়েছে একটি বিশ্বরেকর্ডও। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ক্লিন এন্ড জার্ক বিভাগে ব্যক্তিগত ১১৯ কেজি ভারত্তোলন করে চীনের জিয়াং হুইহওয়ারকে অতিক্রম করে বিশ্বরেকর্ড করেন তিনি। তবে করোনা কালে প্র্যাকটিস কিছুটা ধাক্কা খেলেও নিজের সেরাটা অলিম্পিকের জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মীরাবাঈ চানু।
এদিন নির্দিষ্ট বিভাগে ইন্দোনেশিয়ার ডাবলিউ. সি. আইসাহকে হারিয়ে দেন চানু।
ইন্দোনেশিয়ার এই ভারত্তোলক তুলেছিলেন তুলেছিলেন মোট ১৯৪ কেজি ভার। সেখানে ২০২ কেজি ভারোত্তোলন করেন চানু। যদিও স্বর্ণপদক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন চীনের অ্যাথলেট জেড.হাউ।
একটা সময় কাঠ কাটাতেন চানুর বাবা সেখানেই প্রথম মেয়েকে দেখেন ভারী কাঠের বোঝা খুব সহজ ভাবে তুলতে। এমনকি তার দাদাও তুলতে পারতেন না অত ভার। তার মধ্যে ক্ষমতা আছে দেখেই বাবা মা মেয়েকে ভর্তি করান মণিপুরের স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ায়। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। রিও অলিম্পিকে ফিনিশ করতে না পেরে কেঁদে ফেলেছিলেন চানু। আজ ভারতকে প্রথম পদক এনে দিয়ে তার মুখে এখন অমলিন হাসি।
উল্লেখ্য এর আগেই ১১৯+৮৬ মোট ২০৫ কেজি ভারোত্তোলন করেছিলেন মীরাবাঈ চানু। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তার এই পারফরম্যান্সে তাকে এনে দিয়েছিল ব্রোঞ্জ পদক। সাথে সাথেই টোকিও অলিম্পিকের জন্য ছাড়পত্র পান তিনি। এর আগে ভারতের হয়ে ১৯৯৬ সালে অলিম্পিক পদক এনে দিয়েছিলেন ভারত্তোলক কর্ণম মলেশ্বরী। এবার ভারতীয় দলে রয়েছেন তিনি।