রাতের অন্ধকারে দুস্কৃতী তাণ্ডব কেপিসি হাসপাতালে, ভাঙচুর চালানো হল অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী গাড়িতে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে মানুষের কাছে একমাত্র ভরসার জায়গা হল হাসপাতাল। সেখানে একদিকে যেমন দিনরাত করে চিকিৎসাকর্মীরা রোগীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন, অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী যোগাড় করতে হাসপাতালের বাইরে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে রোগীর পরিজনরা। আর সেই হাসপাতালেই কিনা রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতী তাণ্ডব করে গেল! ঘটনাটি ঘটেছে কেপিসি হাসপাতালে (KPC Medical College & Hospital)। হাসপাতালের পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী গাড়িতেও দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

এই করোনা আবহে কে বা কারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ রায়ের ধারণা, কিছুদিন আগেই অক্সিজেন ফ্লোমিটার (Oxygen Flowmeter) নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকজন অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। আর সেইসময় রোগীর পরিবারের কাছে চড়া দামে অক্সিজেন ফ্লোমিটার বিক্রি করতে বাঁধা দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

117801936 gettyimages 1228602898

এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া অন্য অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালের বাইরে আর দাঁড়াতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সুপারের অনুমান, সেই ঘটনার ছাই চাঁপা রাগের বহিঃপ্রকাশেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা পরবর্তীতে যাদবপুর থানায় অভিযোগ করা হলেও, এখনও অবধি কাউকে এবিষয়ে গ্রেফতার করা হয়নি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, আচমকাই মঙ্গলবার রাতে ১০-১২ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হাসপাতালের সামনে এসে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে করে। নিরাপত্তারক্ষীরা বাঁধা দিতে গেলে, তাদেরকেও মারধর করে। তাঁদের মধ্যে একজনের মাথাও ফেটে গিয়েছে। বিশেষত দুটি অ্যাম্বুল্যান্স এবং একটি শববাহী গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর