বাংলাহান্ট ডেস্ক : অন্যান্য দিনের মতোই রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল দশম শ্রেণীর ছাত্রটি। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। রাতের অন্ধকারে তার গোপনাঙ্গ (Genital organ) কেটে নিয়ে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা (Miscreants)। গুরুতর আহত (Injured) অবস্থায় থাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical College) ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছেন মালদা (Malda) জেলার রতুয়া থানার সামসির তুষরক্ষা গ্রামে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। পরিবারের তরফে দাবী করা হয়েছে, রাতের বেলায় হঠাৎ করেই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা পাঁচিল টপকে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। এরপরেই স্থানীয় বৈদ্যনাথ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের তীব্র চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। স্কুল ছাত্রের বাবা জানান, ‘ছেলে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। তার কিছুক্ষণ পরেই চিৎকার শুনতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি ছেলের যৌনাঙ্গ কাটা, ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।’
এরপরেই ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় এসে পৌঁছান রতুয়া থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি ওই স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থা আরোও খারাপ হতে থাকলে রাতেই তাকে ভর্তি করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রাথমিক ভাবে ওই স্কুল পড়ুয়া ছাত্র জানায়, দু’ জন মুখ ঢাকা অবস্থায় রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢোকার পর একজন তাকে চেপে ধরে রাখা অবস্থায় অন্যজন যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। এরপরে ওই ছাত্র কাউকে চেনার আগেই তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
যদিও, কে বা কারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাল তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে হঠাৎ করে ওই ছাত্রকেই টার্গেট কেন? এর পিছনে পুরনো কোনও শত্রুতা থাকার সম্ভাবনাও আঁচ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ কর্মকর্তাদের তরফে থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে । তবে কারণ যাই হোক, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে পরিবার। তবে হঠাৎ করে এমন হামলার ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য।